সংবাদ শিরোনাম :
তাঁতীদল সিলেট জেলার ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন সিলেট কৃষিজীবী ইউনিয়নের সঙ্গে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সৌজন্য সাক্ষাৎ আওয়ামী দোসরদের হাতে বিএনপির পতাকা: নারায়ণগঞ্জবাসীর ক্ষোভ টয়লেট পরিচালনা শিখতে চীন যাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা রূপগঞ্জ ওপেন হাউজ ডে ও কমিউনিটি পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেয়ামুল হাসানের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি রূপগঞ্জে বিআরটিসি বাসে চরম দুরবস্থা: যাত্রী সেবা নয়, দুর্ভোগের প্রতীক একটি সুন্দর ও নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে মিশন পাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের অফিস উদ্বোধন ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন রূপগঞ্জের আলোচিত প্রধান শিক্ষক হরিকান্তকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০২ অপরাহ্ন

আওয়ামী দোসরদের হাতে বিএনপির পতাকা: নারায়ণগঞ্জবাসীর ক্ষোভ

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ১৭ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আজ এক অদ্ভুত দৃশ্যপট—আওয়ামী আশ্রিতদের হঠাৎ করেই বিএনপি প্রেমিক সাজা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের দোসররা বিএনপি সাজতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। বিএনপি যেহেতু দেশের একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় দল, তাই আগামীর জাতীয় নির্বাচনে জনগণের সমর্থন বিএনপির দিকেই যাবে—এটা আঁচ করেই আওয়ামী আশ্রিতরা নিজেদের রঙ পাল্টাচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যারা শামীম ওসমান–সেলিম ওসমানের ছায়াতলে দিন কাটাতো, তারাই এখন বিএনপির পতাকা কাঁধে তুলে হিরো সাজার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এমনই এক চরিত্র মাসুদুজ্জামান মাসুদ ওরফে মডেল মাসুদ। শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের বিশ্বস্ত সাঙ্গপাঙ্গ হিসেবে দীর্ঘদিন বিভিন্ন সভা-সমাবেশে শামিল ছিলেন তিনি। কিন্তু ৫ আগস্ট পতনের পরেই পাল্টে ফেলেন নিজের আস্তিন। এখন নিজেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। অলিগলি, রাস্তা-ঘাট জুড়ে ব্যানার-পোস্টারে ভরে গেছে “নতুন বিএনপি নেতা” মডেল মাসুদের ছবি।

২২ সেপ্টেম্বর জেলা ও মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়েই এ সদস্যপদ তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, মহানগর আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবুল ইউসুফ খান টিপুসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিন মন্তব্য করেন, “মডেল মাসুদ একজন দানশীল ব্যক্তি, তিনি দীর্ঘদিন অসংখ্য মানুষকে আর্থিক ও নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।” কিন্তু এ বক্তব্যে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সরব হয়ে প্রশ্ন তুলেছে, কোথায়, কবে, কখন এই সহায়তা করেছিলেন মাসুদ? আওয়ামী শাসনামলে তো তার নামই কেউ শুনেনি, পরিচিত মুখ তো দূরের কথা!

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন— “ক্ষমতার হাতছানি দেখলেই রঙ পাল্টানো সুবিধাবাদীদের জন্যই রাজনীতি কলুষিত হচ্ছে। দান-খয়রাতের নামে আইওয়াশ করে জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টাই করছে মডেল মাসুদ।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একজন নতুন সদস্যের যোগদান অনুষ্ঠানকে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করাটা বিএনপির জন্য শুভ লক্ষণ নয়। এতে দলের ত্যাগী, সংগ্রামী নেতাদের প্রতি অবিচার হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দোসররা সুযোগ বুঝে বিএনপির ব্যানার তলে ঢুকে রাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলছে—এমনই তীব্র সমালোচনা উঠেছে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে।

রাজনীতির মাঠে এখন তীব্র সমালোচনা উঠছে, যে ব্যক্তি একদিন শামীম ওসমানের পায়ের তলায় বসে থেকেছে, সে-ই আজ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে উঠছে কেমন করে? এটা কি দলের জন্য কলঙ্ক নয়? এটা কি ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে তামাশা নয়?

নারায়ণগঞ্জবাসী বলছে, মডেল মাসুদ আসলে রাজনীতির গডফাদারদের ছত্রছায়ায় বড় হওয়া এক “সুবিধাবাদী চরিত্র”। ক্ষমতার পালাবদল হলেই যারা রঙ বদলায়, তারাই রাজনীতিকে করেছে হাস্যকর, অবিশ্বাস্য আর জনবিচ্ছিন্ন।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..