নারায়ণগঞ্জের মিশন পাড়ায় উদ্বোধন হলো পঞ্চায়েত পরিষদের নতুন স্থায়ী অফিস। সোমবার বিকেল পাঁচটায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মহল্লাবাসির পাশাপাশি পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন পঞ্চায়েত পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক দানবীর, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ পাঁচ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
তিনি বলেন, “আজ মিশন পাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের স্থায়ী অফিস উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত। এতদিন আমার ব্যক্তিগত অফিস থেকেই পঞ্চায়েতের কার্যক্রম চলত। আজ থেকে আমাদের নিজস্ব অফিস থেকে সুষ্ঠুভাবে সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।”
পঞ্চায়েত প্রথার শিকড় ও অনুপ্রেরণা
বাবুল আরও জানান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকার গঠনের সময় থেকেই পঞ্চায়েত প্রথার সূচনা করেন। সেই ধারাবাহিকতায় মিশন পাড়ায় প্রায় ৪০-৫০ বছর আগে পঞ্চায়েত প্রথার যাত্রা শুরু হলেও তা ঢিলেঢালাভাবে চলছিল। বর্তমানে নিয়মিত কার্যক্রমের মাধ্যমে এই প্রথাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের পঞ্চায়েতের মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনা করা, মানুষের সমস্যার সমাধান করা এবং একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করা।”
নিয়মিত সভা ও সামাজিক কার্যক্রম
প্রতি মাসে অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েতের বৈঠকে মহল্লাবাসীর নানা সমস্যা ও অভাব-অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয় এবং তার সমাধান করা হয়। পাশাপাশি এলাকার দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতেও কাজ করছে পঞ্চায়েত।
সভাপতি বাবুল বলেন, “প্রতিবছর ঈদের সময় অসংখ্য অসহায় মানুষকে আমরা ঈদসামগ্রী বিতরণ করি। শুধু তাই নয়, মহল্লার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সমস্যা বা কোনো পরিবার অভাব-অনটনে থাকলে আমরা খোঁজখবর নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি।”
নিরাপত্তা ও মাদকবিরোধী উদ্যোগ
এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্টে গেট স্থাপন ও দারোয়ান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাত ১২টার পর বাইরের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে পরিচয় ও উদ্দেশ্য যাচাই করে ঢুকতে হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন সভাপতি। তিনি বলেন, “মাদক একটি বড় অভিশাপ। প্রতিমাসে কয়েকবার আমরা এলাকায় অনুসন্ধান চালাই। কাউকে মাদকে জড়িত পাওয়া গেলে তাকে কাউন্সেলিং করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি। আমাদের প্রচেষ্টায় অনেকে এখন সুস্থ হয়ে মসজিদমুখী হয়েছে।”
চাঁদাবাজি প্রতিরোধে উদ্যোগ
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি দেখা গেলেও মিশন পাড়ায় এর প্রভাব নেই বলে জানান বাবুল। তিনি বলেন, “আমাদের এলাকার কোন স্থানীয় ছেলে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নয়। এটা আমাদের সমাজের জন্য বড় গর্ব।”
পঞ্চায়েতের মূল লক্ষ্য
“একটি সুন্দর, নিরাপদ, নৈতিক ও সহযোগিতামূলক সমাজ ব্যবস্থা গড়াই আমাদের পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষ্য। মহল্লাবাসীর সহযোগিতায় আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি,”—এভাবেই বক্তব্য শেষ করেন সভাপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...