ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগষ্ট সৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের পর কাশীপুর ইউনিয়নের আওয়ামী সর্মথিত চেয়ারম্যান মেম্বারগন যখন বির্তকিত ভূমিকার জন্য আত্মগোপনে তখন কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্রন নেয় বিএনপি নেতারা এবং বিএনপি সর্মথিত ২ জন মেম্বাররা ৷ প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায় ঐ সময় বিএনপির নেতারা অযাচিত ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস রুমে দলীয় লোকজন নিয়ে দখল করে তাদের হুকুম জারি করতেন ৷ তখনকার সময় তাদের কে সার্বিক সহযোগীতা করতে দেখা গেছে পরিষদ সচিব আওলাদ হোসেন কে ৷ পরর্বতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিএনপি নেতাদের সাথে সমঝোতা করে ধীরে ধীরে আওয়ামী মেম্বার গন ইউনিয়ন পরিষদে আসতে শুরু করেন ৷ তবে কে হবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেটা নিয়ে পরিষদ ভবনে চিৎকার চেচামেচি আর হৈ চৈ ও একাধিক দিন দলেবলে হয় বৈঠক ৷ ঐ সময় কয়েক জন ছাড়া সব মেম্বার গন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন এবং বিএনপি নেতাদের সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৷ কিন্ত ঐ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান শামিম মেম্বার আতংকে ও নিরাপওার কারনে পরিষদ ভবনে পাশের গোডাউন রুমে অবস্থান করতে দেখা গেছে ৷ তখন তাকে বিএনপি কর্মিরা সৈরাচারের দোসর বলছিলেন ৷ জানা গেছে তখন বিএনপি সর্মথিত ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খোকন সর্দার কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন করার প্রস্তাব আসে ৷ কিন্ত এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের জরুরী ,জন্ম সনদ মৃত্যু সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স আওমী লীগ নেতা শামীম মেম্বার প্যানেল চেয়ারম্যান সীল ব্যাবহার করে সই দিয়ে কাজ চালান ৷ এর পর বিএনপি নেতারা প্রশাসনিক লিখিত সিদ্ধান্ত না হওয়া প্রর্যন্ত পরিষদ সচিব কে বলা হয় জরুরী সই গুলো কাগজ পএ সাময়িক ভাবে প্যানেল চেয়ারম্যান করবে ৷ এই উওেজনা থামলে হঠাৎ কয়েক দিনের মাথায় দেখা গেল কাশীপুর ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম মেম্বার তার সীল পরির্বতন করে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দাবী করে ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্ব পূর্ন কাগজ পএ সই সাক্ষর করছেন তাতে শামীম আহম্মেদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সীল ব্যাবহার করা হয়েছে ৷ এমন কি এখন তাকে নিয়মিত চেয়াম্যানের চেয়ারে বসে একই টেবিলে বিএনপি নেতাদের নিয়ে পরিষদের বিভিন্ন কর্ম সূচী পালন সহ , একই টেবিলে বিএনপি নেতাদের নিয়ে হাসি মূখে চা নাস্তা খেতে দেখা যাচ্ছে হঠাৎ এমন অবাক করা দৃশ্য দেখা যাচ্ছে পরিষদের চেয়ারম্যান রুমে ৷ অথচ সাধারন মানুষ ও কতিপয় তৃন মূলের সাধারন বিএনপি নেতারা কর্মীরা বলছেন ৷ বিএনপির আর্দশের সাথে বেইমানী করেছেন কাশীপুরের বিএনপির দায়িত্ব শীল নেতারা , ছাত্র আন্দোলনে রক্তের সাথে বেইমানী করেছেন তারা ৷ কারন এই শামীম মেম্বার কে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল্লা বাদল চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকা নিয়ে কাশীপুরের প্যানেল চেয়ারম্যান বানিয়েছে ৷ শামীম মেম্বারের বাবা হাজী গিয়াস উদ্দিন কে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়েছে ৷ প্রতিটা বিএনপি কর্ম সুচী ও হরতালে কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যে হরতাল বিরোধী মিছিল হয়েছে ৷ তাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আইয়ূব আলীর পাশে হরতাল বিরোধী প্রতিটা মিছিলে দল বল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শামীম মেম্বার দাড়ি টুপি পান্জাবী পায়জামা আর কেডস পড়ে দাপটের সাথে অংশ গ্রহন করে মিছিলে মিছিলে কাশীপুর ঘুরে , শোডাউন করে বিএনপির গোষ্টি উদ্ধার করেছে ৷ শামীম মেম্বার কে ছাত্র আন্দোলন কর্ম সূচীতে ছাত্রদের বিরুদ্ধের আওয়ামী লীগ কর্ম সূচীতে ও অংশ গ্রহন করতে দেখা গেছে ৷ অথচ আজ বিএনপি নেতারা শামীম মেম্বার এর টাকার কাছে বিক্রি হয়ে সমঝোতা করে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছে ৷ তাদের এমন আচরন সাধারন মানুষ ও প্রকৃত বিএনপি কর্মীদের মনে দারুন আঘাত লেগেছে ৷
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...