এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুক্রবার বিকেলে এক কর্মী সমাবেশে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল আরমান বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা ও দলের ভেতরের কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা এমন সময় কর্মী সমাবেশ করছি, যখন দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। এমপি এসেছে, এমপি বদল হয়েছে কিন্তু ফতুল্লার মানুষের ভাগ্য বদলায়নি। নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে আমরা প্রায় বিচ্ছিন্ন। ফতুল্লা থেকে শহরে যেতে ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে দেড় ঘণ্টা লাগে। বৃষ্টি হলে হাঁটু সমান কোথাও কোথাও কোমর সমান পানিতে তলিয়ে থাকি। এই হলো শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন!”
জুয়েল আরমান অভিযোগ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অতীতে এমপি থাকা কবরী ও শামীম ওসমানসহ কিছু প্রভাবশালী নেতা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছেন। “তারা আজ বিদেশে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ দুঃখ-কষ্টে দিন পার করছে। এই অঞ্চলের উন্নয়নে তারা কিছুই করেনি।”
“আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে যুদ্ধ করে এসেছি”
সম্প্রতি ফতুল্লা থানা কৃষক দলের নতুন কমিটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার জবাবে জুয়েল আরমান বলেন, “আপনারা যারা আঙুল তুলছেন, আগে নিজেদের চেহারাটা আয়নায় দেখুন। আপনি এমপি ছিলেন, জেলা বিএনপির দায়িত্বে ছিলেন, আপনার ছেলে ছিল কৃষক দলের পদে, আপনারা করেছেন কী? আমরা তৃণমূলের কর্মী, হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটে আজ এখানে এসেছি।”
তিনি আরও বলেন, “ফতুল্লা থানা কৃষকদল কোনো ফালতু সংগঠন নয় যে ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে যুদ্ধ করে এখানে এসেছি। হাসিনা বা শামীম ওসমানের রক্তচক্ষুকে ভয় করি নাই আপনাদেরও ভয় করব না।”
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জুয়েল আরমান বলেন, “আপনারা এখন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে নেই, কেউ ৫ আসনে, কেউ ৩ আসনে চলে গেছেন। আমরা ফতুল্লার মানুষ, আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ আমরাই করব। কোনো বহিরাগত বা আওয়ামী লীগের দোসরকে নিয়ে আমরা নির্বাচনে যাব না। ধানের শীষের প্রতীক তাদের হাতে উঠতে দেব না।”
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী নির্বাচনে ফতুল্লার মাটি ও মানুষের প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কাউকে জনগণ গ্রহণ করবে না।
কর্মী সমাবেশে ফতুল্লা থানা কৃষকদলের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। তারা দলকে সংগঠিত করে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...