নির্বাচন এখনো অনেকটা দূরে, কিন্তু নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে যেন আগাম পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দিল এক বিকেলের শোভাযাত্রা। রাজপথে গর্জে উঠল হাজারো কণ্ঠ, একটাই নাম—আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
তিনি এখনও প্রার্থী নন, মনোনয়নপ্রত্যাশী মাত্র। কিন্তু জনস্রোত বলছে, জনগণ তাদের প্রতিনিধি ঠিক করে ফেলেছে আগেই।
বুধবার বিকেল ৪টায় নগরীর মিশনপাড়া থেকে শুরু হয় বাবুলের পক্ষে এক বিশাল মিছিল। নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া গোলচত্বর থেকে শুরু করে প্রেসক্লাব, কালিরবাজার, ক্লাব মার্কেট, ২ নম্বর রেলগেট, নিতাইগঞ্জ হয়ে আবার মিশনপাড়ায় ফিরে শেষ হয় এই জনজোয়ার।
সড়কের দুই পাশে উৎসুক জনতা, মাঝখানে দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন আর আবেগে উচ্ছ্বসিত মানুষের স্রোত।
‘বাবুল ভাই মানেই উন্নয়নের গ্যারান্টি’, ‘নারায়ণগঞ্জ চায়, বাবুল ভাই’—এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল পুরো শহর।
এত মানুষের ঢল দেখে পথচারীরাও থমকে দাঁড়িয়েছেন, মোবাইলে ভিডিও করছেন, অনেকের চোখে দেখা গেছে বিস্ময়—“এত মানুষের ভালোবাসা এক প্রার্থীর জন্য!”
বিশাল এশোভাযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন বাবুলের ভাই জহির আহমেদ সোহেল ও জামাল আহমেদ জুয়েল।
তাঁরা বলেন, “এটা কোনো মিছিল নয়, এটা হচ্ছে মানুষের মনের কথা, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। বাবুল ভাই এ এলাকার সন্তান, মানুষের সঙ্গে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। দল যদি মনোনয়ন দেয়, নারায়ণগঞ্জ-৫ তার কৃতজ্ঞতা ভুলবে না।”
বাণিজ্যজগতে সুপরিচিত নাম, রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয়, আর সমাজসেবায় নিবেদিত—এই তিন গুণের অনন্য সংমিশ্রণ আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন—চিকিৎসা, শিক্ষা, মানবিক সহায়তা থেকে শুরু করে দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার স্বভাব।
এই জনপ্রিয়তা হঠাৎ তৈরি হয়নি। বরং সময় নিয়ে গড়ে ওঠা বিশ্বাসেরই প্রকাশ এই শোভাযাত্রা।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিশাল জনসমাগম বার্তা দিচ্ছে—নারায়ণগঞ্জ-৫-এর মানুষ পরিবর্তন চায়, তারা চেনা মুখ নয়, আপন মানুষকে সংসদে পাঠাতে চায়।
শুধু বিএনপির মনোনয়ন নয়—এই মিছিল ছিল এক ধরনের রাজনৈতিক চাপও, যেখানে কর্মীরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন,
“আমাদের প্রার্থী একটাই—আবু জাফর আহমেদ বাবুল।”
জনতার ভালোবাসা যার জন্য, প্রার্থী তিনি “আবু জাফর আহমেদ বাবুল”।
নির্বাচন এখনো ঘোষণা হয়নি, কিন্তু নারায়ণগঞ্জ-৫ বলছে, বাবুল ভাই আসছেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...