নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড বন্দর যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। নানা প্রকার অপরাধ জগতের সম্রাটদের বসবাস ও বিচরন এ ওর্য়াডে। দীর্ঘদিন যাবত অপরাধ জগতের লোকদের কাছে সাধারণ /সচেতন মানুষসহ বিভিন্ন মিল কারখানার মালিকরা জিম্মি বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লোকজন জানান।
সূত্র মতে, বন্দরের কাইতাখালী, রওশনবাগ, দেউলী, চৌড়াপাড়া, বক্তারকান্দি, নোয়াদ্দা, আমিরাবাদ, বটতলা এলাকা নিয়ে নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড। এ ওর্য়াডে ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া জুট মিল, এসিআই, আকিজ কোম্পানি, ভূমি অফিসসহ ছোট বড় প্রায় দেড় ডজন মিল কারখানা রয়েছে। মিল কারখানায় উৎপাত, নিজেদের প্রভাব বিস্তারসহ নানাভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। প্রতি রাতেই ঘটছে ছিনতাই, চুরির মহাৎসব। মূলত ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশাসনের তৎপরতা তেমন নেই। সেই সুযোগকে পুঁজি করে চক্রগুলো এলাকায় চরম অরজগতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। কেউ দেখলেও না দেখার মত থাকতে হয়। বাধা দিবেতো দূরের কথা। রাত যত গভীর হয় চক্রটির কাজ তত সহজ হয়। আকিজ কোম্পানির গাড়ী রাতে আমিরাবাদ হতে লোড করে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারী চক্রটি দাড়ালো ছুরি দিয়ে চালকদের আটক করে। সিগনাল দিয়ে গাড়ী আটক পূর্বক তাদের সাথে থাকা মোবাইল, বিকাশ করে টাকা নিয়ে তাদের ছাড়ে।
আবুল কালাম নামের এক চালক জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৩ টার দিক গাড়ী নিয়ে যাওয়ার পথে বটতলার শাখা সড়কে ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ। প্রতিজনের হাতে দাড়ালো ছুরি। গাড়ি থামাতেই ৩ জন গলায় ছুরি ধরে আমার ও হেলপার সজিবের মোবাইল নেয়। মোবাইলের পিন কোর্ড দিয়ে লক খুলে। ২ জনের মোবাইল পিন কোর্ড ও বিকাশের পিন কোর্ড নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেয়। আমাদের ২ জনের বিকাশে ১৪ হাজার ৫শ টাকা ছিল৷ মোবাইল ২ টার দামও প্রায় পুরাতন হিসেবেও ১৫/১৭ হাজার টাকা হবে। ওরা ওই সময় এতটা হিংস্র থাকে কথা বললে বিপদ গঠতে পাড়ে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এ রাস্তায় আসা যাবে না। যে প্রতিষ্ঠানের মালামাল আনা-নেওয়া হয়, তারা যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে তাহলে এমন সময় আসবে কোম্পানি কোন ট্রান্সপোর্টের গাড়ী পাবে না। প্রশাসনের অভিযান কম থাকায় ছিনতাইকারীরা প্রতিনিয়ত বেপরোয়া হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে আকিজ কোম্পানির সিও হাসানুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...