সংবাদ শিরোনাম :
টয়লেট পরিচালনা শিখতে চীন যাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা রূপগঞ্জ ওপেন হাউজ ডে ও কমিউনিটি পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেয়ামুল হাসানের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি রূপগঞ্জে বিআরটিসি বাসে চরম দুরবস্থা: যাত্রী সেবা নয়, দুর্ভোগের প্রতীক একটি সুন্দর ও নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে মিশন পাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের অফিস উদ্বোধন ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন রূপগঞ্জের আলোচিত প্রধান শিক্ষক হরিকান্তকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত রূপগঞ্জে মহানবীকে নিয়ে ফেইসবুকে কটূক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেফতার গৃহ মেরামতের জন্য ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন কর্তৃক নগদ অর্থ বিতরণ
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন

বেদখল থেকে মুক্তি, ইকোপার্কে রূপ নেবে আড়াইহাজারের ২৩ একর জমি

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৪৪ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাট সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের পাশে প্রায় ২৩ একর জমি প্রায় সাত দশক ধরে বেদখল অবস্থায় পড়ে ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের মালিকরা ভারতে চলে গেলে সুযোগ নেয় স্থানীয় কিছু পরিবার। তারা সেখানে কৃষিকাজ শুরু করে।

কিন্তু ২০২০ সালে হঠাৎ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। আওয়ামী লীগের সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর অনুসারীরা জমি দখল করে নিয়ে অবৈধ বালুর ব্যবসা শুরু করে। পরে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও জমি দখলের চেষ্টা করে। এতে এলাকায় নতুন করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।

প্রশাসনের হস্তক্ষেপ

এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা কঠোর নির্দেশ দেন আড়াইহাজার উপজেলা প্রশাসনকে। তিনি বলেন—
“এক ইঞ্চি জমিও বেদখল থাকতে পারবে না। মালিকবিহীন এই জমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।”

এরপর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দীন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সবাইকে কাগজপত্র জমা দিতে বলেন। শুনানির পর যাচাই-বাছাইয়ে প্রমাণ হয়, সব দাবিদারই ভুয়া মালিক। নঈম উদ্দীন জানান, এ জমির বাজারমূল্য আনুমানিক ৬০ কোটি টাকা।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস কে মো. মামুনুর রশীদ বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান। সব যাচাই শেষে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম ১৬ সেপ্টেম্বর জমিটি ১ নম্বর খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশে স্বাক্ষর করেন।

সরকারের পরিকল্পনা

জেলা প্রশাসক জানান—
“আমরা এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক গড়ে তুলব। এতে জমিটি আর কখনো বেদখল হবে না, বরং স্থানীয়রা পর্যটন সুবিধা থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।”

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

স্থানীয় বিশনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আব্দুল হামিদ বলেন—
“আমার দাদা-বাবা এ জমিতে চাষ করতেন। ২০২০ সালে সাবেক এমপির লোকজন আমাদের কাছ থেকে জমি নিয়ে নেয়। সরকার ইকোপার্ক করলে কোনো আপত্তি নেই, শুধু চাই আর যেন প্রভাবশালীরা দখল করতে না পারে।”

একই মত প্রকাশ করেন বিশনন্দী ফেরিঘাট জামে মসজিদ ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মতিউর রহমান। তিনি বলেন—
“আমরা বহুদিন ভোগদখল করে এসেছি, কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে জমি হাতছাড়া হয়। সরকার যদি এখন নিজের নামে জমি নেয়, তাতে আপত্তি নেই। তবে ভবিষ্যতে যেন আর কেউ দখল করতে না পারে, সেটাই আমাদের দাবি।”

আইনি প্রক্রিয়া

প্রশাসনের সূত্র জানায়, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার, কানুনগো ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর প্রতিবেদন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুপারিশ যাচাইয়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী জমিটি সরকারি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..