সংবাদ শিরোনাম :
আদালতের রায় পেয়ে দখলদারদের ৭ দিনের সময় দিলেন বাড়ির মালিক ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীরা যেন হয়রানিমুক্ত সেবা পায়- জাহিদুল ইসলাম মিঞা ‘বিষপান করা’ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে চোখ হারানো চার যুবকের পাশে তারেক রহমান যুবদল নেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিকের পায়ের রগ কেটে ফেলার হুমকির অভিযোগ সাংবাদিকদের প্রতি তাচ্ছিল্য: নেতা হওয়ার উন্মাদনায় অচিরেই অব্যাহত অবনতি অনিবার্য হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে:  মাওলানা ফেরদাউসুর  ফতুল্লায় চুন্নুর ভাতিজাদের তাণ্ডব, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা! ফতুল্লায় আজমেরী সমর্থকদের ঝটিকা মিছিল’ বিএনপির ধাওয়া বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী ভোক্তা সচেতনতার নবযাত্রা শুরু করলো সিসিএস নারায়ণগঞ্জ
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন

অবশেষে নিয়াজ উদ্দিনকে আটক পূর্বক সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৬৪ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

বন্দরের নাসিক কামাল উদ্দিন মোড় এলাকার বিশেষ ট্রাইবুনাল, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (৫২)কে এলাকাবাসী আটক পূর্বক সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করেন। শনিবার দুপুরে বন্দরের আমিন আবাসিক এলাকা হতে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে আটক পূর্বক সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করেন। নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিন মোড় এলাকার মৃত ইউসি মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় বিশেষ ট্রাইবুনালে মামলা রয়েছে। যে মামলায় নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন শামীম ওসমানের ব্যবসায়ীক পার্টনার। এছাড়া সোনারগাও থানায় হেফাজত কর্মী হত্যা মামলা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, ফতুল্লা থানায় ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনের ও জমি সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। নিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার ও তার কবল হতে মসজিদের জায়গা রক্ষার জন্য এলাকাবাসী একাধিকবার মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরয়া হয়নি। এর কয়েকমাস পূর্বে ফতুল্লা থানা পুলিশ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করেও ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। শনিবার এলাকাবাসী বন্দর আমিন আবাসিক এলাকা হতে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে আটক পূর্বক সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করেন।

উল্লেখ্য যে, ’ওসমান পরিবারের সহযোগী/ বিশ্বস্ত গোয়ান্দা সংস্থা নিয়াজ উদ্দিন বেশ দাপটে অবস্থানে, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্য!!
একাধিক মামলা নিয়ে পুলিশের নাকের দগায় ভূমিদস্যু , মসজিদের জমি দখল করা নিয়াজ গং রা৷ আমিনুল পাসপোর্ট বাবুরা গন গন রুপ বদলায় নিয়াজের মত বহুরূপী তাদের সাথে মিছিলের ছবি সর্বত্র ভাইরাল। বন্দরের নবীগঞ্জ জালাল সরদার বাড়ির ছেলে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিশাল পরিমাণ অপকর্মের ইতিহাস। ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনে ফতুল্লা থানা ও হেফাজত কর্মী হত্যা মামলার আসামী নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এখনো প্রকাশ্য বহাল তবিয়তে। প্রশাসনের নাগের সামনে দিয়ে ঘুরলেও যেন তাকে চিনে না প্রশাসন। টাকার কাছে সকলেই পুনরায় হাত বাড়াতে শুরু করেছে। গত ২০ ডিসেম্বর ফতুল্লা থানা পুলিশ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করলেও ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে থানা থেকেই চলে আসে। তবে পুলিশ বলছে উল্টো কথা। একাধিক মামলার আসামী জামিন ছাড়া প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরাফেরা করে কিভাবে?? এমনই প্রশ্ন সচেতন মহলের। মুনতাসীর মামুনের লেখা বইয়ে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ্য করেছে যে মহিউদ্দিন আহমেদ অর্থাৎ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদর পিতা ছিলেন শান্তি কমিটির সভাপতি। নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের খুটির জোর কোথায়?? কোন সে অদৃশ্য কালো শক্তি তাকে পেছন হতে শেল্টার দিচ্ছে তাও খুঁজে বের করে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে যাওয়া উচিত হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

মসজিদের সম্পত্তি গ্রাসের অভিযোগ সেই আলোচিত সমালোচিত নিয়াজের বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ কামালউদ্দিন মোড়স্থ টি হোসেন রোডের হাজী জালাল সরদার জামে মসজিদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে ওসমান দোসর নিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে। মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তিতে ইতোমেধ্যে একটি নামধারী স্কুলও গড়ে তুলেছে সে। তার এহেন আচরণে ফুঁসে উঠতে শুরু করছে মুসল্লীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মসজিদের নিয়মিত নামাজ আদায়কারী মুসল্লী জানান,নিয়াজ মাহমুদ একজন সুবিধাবাদী লোক। নিজের প্রয়োজনে সে যে কোন ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে মানুষের জায়গা-জমি দখলে নেয়। তার নামে যে কমিউনিটি সেন্টার সেটাও তার জায়গা না। অনেকের ওয়ারিশের সম্পত্তি সে একাইজোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। এখন আবার স্বয়ং আল্লাহর ঘর মসজিদের জায়গাও দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই সম্পত্তির কিছু অংশ তাদের ছিল কিন্তু তারা সেগুলো ওয়াকফ করে দিয়েছেন দলিলে তার সাক্ষরও রয়েছে অথচ নিজের স্বার্থে এখন সেই জায়গাও দখলে নিতে চাইছে। যারা মসজিদের সম্পত্তি নিয়ে কাড়াকাড়ি করে তারা কাফেরের বংশধর। অপরাপর মুসল্লী একই শর্তে জানান,নিয়াজ মাহমুদের সঙ্গে কথা বললে মনে হয় সে ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে জানেন না আসলে সে অনেক গভীর জলের মাছ। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সে বন্দরের অনেকের জায়গা দখল করেছে। সেলিম ওসমান,শামীম এবং আজমীর ওসমানের দোসর ছিলেন তিনি। যখন যেখানে যাকে প্রয়োজন তখন সেখানে তাকে দিয়েই কাজ বাগিয়ে নিতেন। আওয়ামীলীগের ক্যাডার শাহ নিজাম,হেলালসহ সবার সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করতে সাহস পেতো না। ইদানীং সে আবার নিজেকে বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী দাবি করে মসজিদটি নিয়ে নানা তালবাহানা করছে। এলাকাবাসী নিয়াজ মাহমুদের রাহুর গ্রাস থেকে জালাল সরদার মসজিদের সম্পত্তি মুক্ত চান। তার প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হস্তপেক্ষ কামনা করছেন।
সোনারগাঁয়ে হেফাজত কর্মী হত্যার ৩ বছর পর মামলা ও সাবেক ২ এমপির সাথে নিয়াজ উদ্দিনসহ ১২৮ জনের নামে মামলা। ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনে ওসমান পরিবারের সক্রিয় নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে, অন্যের জমিসহ মসজিদের জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..