পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃক। টাংগাইল জেলার মির্জাপুর থানাধীন গোড়াই এলাকা হতে, অপহরন মামলার ১৭ বছর বয়সী এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন সুফিবাগ এলাকা হতে অপহরন মামলার ১৩ বছর বয়সী নারী শিশু ০২ (দুই) জন ভিকটিম উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য কোর্ট পিটিশন মামলা নং- ১১৭/২০২৫খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০।
কোর্ট পিটিশন মামলা নং-১৮৪/২০২৫, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০।
গত ১৪/১২/২০২৪ তারিখ সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাইল নেছারিয়া আলীম মাদ্রাসার গেইট হতে বাদী মোঃ আনোয়ার হোসেন এর মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে ভিকটিম নুসরাত জাহান আছমা (১৭)কে বিবাদী ইয়াছিন আরাফাত (২১), ২। বেনু মিয়া (৩৩), ৩। আখি (২৫) ৪। সনিয়া (২০), ৫। ফুল মিয়া (৫০), ৬। আওয়াল (৪৫), সাং-গোবিন্দপুর আসারামপুর, পলাশতলী, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদীগন পরস্পর যোগসাজসে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে সূত্রোক্ত মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত পিবিআই নারায়ণগঞ্জকে ভিকটিম উদ্ধার পূর্বক মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে অ্যাডিশনাল আইজিপি, পিবিআই, হেডকোয়ার্টার্স, ধানমন্ডি, ঢাকা এর নির্দেশনা এবং পুলিশ সুপার, পিবিআই, নারায়ণগঞ্জ জেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে, তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক জানা যায় যে, সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইল হতে অপহৃত ভিকটিম নুসরাত জাহান আছমাকে অপহরন করে গোড়াই, মির্জাপর, টাঙ্গাইল এলাকা নিয়ে অবস্থান করিতেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে এসআই বিল্লাল, এসআই দেলোয়ার, এএসআই জহিরুল ইসলাম সহ আভিযানিক চৌকুস একটি টিম মির্জপুর গোড়াই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইংরেজী ১৭/০৩/২০২৫ তারিখ বিকাল ০৫.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম নুসরাত জাহান আসমাকে উদ্ধার করে একই তারিখ রাত ১০.০০ ঘটিকার সময় উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে নিয়ে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ অফিসে হাজির হয়। মামলাটি ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান এর নিকট তদান্তধীন এবং তদন্ত অব্যাহত আছে।
এবং ২৭/০২/২০২৫ইং তারিখ সকাল ০৮.০০ ঘটিকার সময় বাদীনি রিনা আক্তার (৩৫), স্বামী-আবুল কাশেম স্বপন, সাং-চরভোঢালী, পোঃ কালিবাজার, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, এ/পি সাং-উত্তর সাহেবপাড়া, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ এর মেয়ে এন আলম মেরিট কেয়ার স্কুলে যাওয়ার সময় নিজ বসত বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে ভিকটিম তাসমিম আজার (১৩) কে আসামী ১। শাহপরান (২৩), ২। শারমিন (২৯), ৩। ইব্রাহিম (৩৫), ৪। ফাতেমা (৩২), ৫। কবির (৩৮), ৬। হাজেরা (৩০), ৭। আমেনা (৩৫), ৮। মনির হোসেন মনু (৫৮) গন সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পূর্ব পরকল্পিতভাবে ভিকটিমের গতিরোধ করে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটি সাদা রংয়ের নোয়া গাড়িতে তুলে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে সূত্রোক্ত মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত পিবিআই নারায়ণগঞ্জকে ভিকটিম উদ্ধার পূর্বক মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে অ্যাডিশনাল আইজিপি, পিবিআই, হেডকোয়ার্টার্স, ধানমন্ডি, ঢাকা এর নির্দেশনা এবং পুলিশ সুপার, পিবিআই, নারায়ণগঞ্জ জেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে, তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক জানা যায় যে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাই, মিজমিজি এলাকা হতে অপহৃত ভিকটিম তাসমিম আক্তারকে অপহরন করে চাঁদপুর জেলার, কচুয়া থানাধীন, সুফিবাগ এলাকায় নিয়ে অবস্থান করিতেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ রাহেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই হযরত আলী, এসআই রোকন, এএসআই নুর হোসেন সহ আভিযানিক চৌকুস একটি টিম চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন সুফিবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইংরেজী ১৭/০৩/২০২৫ তারিখ বিকাল ০৪.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম তাসমিম আক্তারকে উদ্ধার করে একই তারিখ রাত ১১.০০ ঘটিকার সময় উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে নিয়ে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ অফিসে হাজির হয়। মামলাটি এসআই মোঃ হযরত আলীর নিকট তদান্তাধীন এবং তদন্ত অব্যাহত আছে। উদ্ধারকৃত উপরোক্ত ভিকটিম দ্বয়কে অদ্য ১৮/০৩/২০২৫ইং তারিখ সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় সিভিল সার্জন বরাবরে প্রেরন করে ডাক্তারী পরীক্ষ সম্পন্ন করতঃ ভিকটিম দ্বয়ের জবানবন্দি নাঃ শিঃ আইনের ২২ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করার নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ব্রিফিং এ
মোঃ মোস্তফা কামাল রাশেদ-বিপিএম।
বিপি-৭৭০৬১১৯৭৬৩ পুলিশ সুপার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...