নারায়ণগঞ্জের কাশিপুর ইউনিয়নে ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন যুবলীগ নেতা মুন্নার বিরুদ্ধে একের পর এক চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- চালিয়ে এলেও কোনভাবে তার দৌরাত্ম্য থামছে না।
সম্প্রতি, ৪২ বছর বয়সী শাহীন নামের এক ব্যক্তিকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মামলায় শাহীনের বয়স ১৬ বছর দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে তার বয়স ৪২ বছর। আদালতে এ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় দ্রুত জামিন পান তিনি।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মুন্না আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, এছাড়াও এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করেন, যার মধ্যে নারীও ছিলেন। এ ধরনের বেপরোয়া আচরণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ বেপারীর ছেলে কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মুন্না।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও এখন আবার চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী হামলা ও হুমকির মাধ্যমে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে মুন্না। তার অপরাধ কর্মকা-ে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, কীভাবে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুন্না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে নির্বিঘেœ তার অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে? তারা র্যাব ও পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে কাশিপুর ইউনিয়নে শান্তি ফিরে আসে এবং সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে। প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে মুন্নার দৌরাত্ম্য আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত দ্রুত তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে অতিদ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...