গত ৭ মে ২০২৫ ফতুল্লা থানার বিসিক এলাকার গাইবান্ধা টেইলার্সের সামনে থেকে সকাল ১০ ঘটিকায় অটোচালক মনোয়ারুল (৩২) ও ফারিয়া গার্মেন্টস এর নারী শ্রমিক তহসিনা আক্তার (২৮) এর ০৪ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে তার বড় বোন মরিয়ম (১০) মায়ের কাছে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্যে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার কৃত আসামী মাহমুদা (২৮) কৌশলে শিশু কন্যা তিশাকে কোলে নিয়ে তার বড় বোন মরিয়মকে কিছু টাকা দেয় চকলেট খাওয়ার জন্য। মরিয়ম চকলেট কিনতে গেলে মাহমুদা শিশু কন্যা তিশাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এরপর চার মাসের বাচ্চা তিশাকে খুজে না পাওয়া গেলে তার বাবা মা ফতুল্লা থানায় যোগাযোগ করলে ফতুল্লা থানার এসআই ইয়াসিন আরাফাতকে শিশুটি কে উদ্ধারে দায়িত্ব দেয়া হয়। ৭ মে/২০২৫ থেকে নিরলশ প্রচেষ্টায় শুধু মাত্র একটি অস্পষ্ট সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ কে পুঁজি করে শিশুটিকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলতে থাকে। অবশেষে ১৪ মে/ ২০২৫ (মঙ্গলবার) পূর্ব মাজদাইর এলাকা থেকে মাহমুদার কাছ থেকে শিশু বাচ্চা তিশাকে উদ্ধার করা হয়। এই অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ।
মাহমুদা ও তার স্বামী অটোরিকশা চালক আসাদুল-দ্বয়কে ফতুল্লা থানা পুকিশ হেফাজতে নেয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাহমুদা শিশু তিশাকে চুরির বিষয় স্বীকার করে। কারণ হিসাবে মাহমুদা বলেন দীর্ঘ ১২ বছরের সংসারে নি:সন্তান হওয়ার কারণে সামাজিক ও পারিবারিক চাপে থাকতেন। অত:পর গত ৭ মাস আগে মাহমুদা কন্সিভ করলেও পঁচ মাস পর তা মিসক্যারিয়েজ হয়ে যায়। মিসক্যারিয়েজ এর বিষটি মাহমুদা তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর সবাইকে বিষটি লুকিয়ে যায়। শিশু বাচ্চাকে চুরি করে পরবর্তী তার বাচ্চা বলে আত্মীয়-স্বজনের কাছে প্রচার করেন নিজের বাচ্চা হিসাবে। নিজের সংসার বাঁচানোর জন্যে বাচ্চা চুরি করার কথা স্বীকার করে মাহমুদা বলেন তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন সন্তান না হওয়ার জন্যে তাকে ডিভোর্স দেয়ার জন্যে চাপ দেয়ার কথা উল্লেখ করে। এজন্য সে বাচ্চা চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...