আওয়ামী লীগের ক্যাডার ইয়াসিন গং কর্তৃক জোর করে এতিমদের মালিকানাধীন মদিনা পেপার স্টোর নামের দোকান দখলের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার নগরীর মিশনপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জহির আহাম্মেদ সোহেল বলেন, আমার বিধবা বোন সানজিদা আক্তার মদিনা পেপার স্টোর নামের দোকানসহ বাড়িটি গত ২০০৬ সালে সাফ কবলা দলিল মূলে কিনে নেন। ইয়াসিন গং এর সাথে চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও স্বৈরাচারের দোসর ও সন্ত্রাসীদের প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক তা দখল করে রাখে। পরে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে আদালত থেকে আমার বোনের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নেয়। আমার বোন উচ্চ আদালতে আপীল করলে (মামলা নং-২৬৭/২২) বিগত ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর আদালত আমার বোন সানজিদা আক্তারের পক্ষে রায় দেন। আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে ইয়াসিন গং হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন মোকদ্দমা দায়ের করে। আপিল বিভাগের জজ ইন চেম্বারের আদালত আট সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। এই দোকান নিয়ে আদালতে ইয়াসিন গং এর কোন মামলা না থাকায় গত ২৫ মে তাদের দোকান ছেড়ে দিতে বললে তারা ৭ দিনের সময় চায়।
পরবর্তীতে গত ৩০ মে স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ মিশনপাড়া কার্যালয়ে আসলে আমার বড় ভাই তাদেরকে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। ঐ সময় ইয়াছিন উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে মামলার ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লাখ দিলে দোকান ছেড়ে দেবে বলে অঙ্গিকার করে। ৩১ মে ওই সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে আসার কথা থাকলেও তারা আসেনি। ১ জুন আমি আমার তিন বন্ধুকে নিয়ে মদিনা পেপার স্টোরে এসে বিষয়টি জানতে চাইলে পাশের দোকান থেকে হাতুরী ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এতে করে আমার বাম হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সদর মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।
এই ঘটনায় আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তারা একটি মিথ্যা ভিডিও তৈরি করে। যে ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। যে সময়ের ভিডিওটি কথা বলা হয়েছে সে সময় আমি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অবস্থান করছিলাম। তাই বিষয়টি সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...