জগন্নাথপুর পৌর সভার ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পাগলা -জগন্নাথপুর -আউশকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ময়লা -আবর্জনা ফেলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এমনকি সড়কের কিছু অংশ জুড়ে ময়লা -আবর্জনা পড়ে থাকায় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশংকা করছেন।
১৭ ই জুন রোজ মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর সভার প্রথম শ্রেণীতে উন্নতি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় এই পৌর সভার পরিছন্ন কর্মীরা পৌর সভার ৭ নং ওয়ার্ডের হবিবনগর নামক এলাকায় ৩নং ব্রীজের নিকটবর্তী থেকে প্রায় ৩শত ফুট এলাকা জুড়ে পাগলা -জগন্নাথপুর -আউশকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। যার ফলশ্রুতিতে রোদ-বৃষ্টিতে ময়লা-আবর্জনা পচে গলে অসহনীয় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আর এই ময়লা আবর্জনা আগুন লাগিয়ে জ্বালানোর চেষ্টাকালে প্লাস্টিক ও পলিথিন এর ধোঁয়ায় সড়ক অন্ধকারছন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে এই সড়ক দিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা সদর, জেলা শহর সুনামগঞ্জ, বিভাগীয় শহর সিলেট ও রাজধানী শহর ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রী ও পথচারীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমনকি সড়কের পাশে ময়লা -আবর্জনা ফেলায় সড়ক সরু হয়ে থাকায় ও কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারছন্ন হয়ে পড়ায় যেকোনো মুহূর্তে দিবারাত্রি চলাচলকারী যানবাহন এই ময়লা আবর্জনার স্তুপ এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পড়ার আশংকা করছেন পথচারী ও স্থানীয়রা। বিধায় জনস্বার্থে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
এব্যাপারে যানবাহন চালক,যাত্রী,পথচারী ও স্থানীয়রা একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, জগন্নাখপুর পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও ডাম্পিং স্টেশন নেই। ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশে ও নদীতে। প্রতিদিন ট্রাক ও ভ্যানগাড়ি দিয়ে পরিচ্ছন্নকর্মীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের হবিবনগর এলাকার ৩নং ব্রীজের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে যায়। বিকাল হলে প্রায় ৩শ’ ফুট স্থানজুড়ে ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিকে আগুন দেয় পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা। এতে ধোঁয়া সৃষ্টি হয়ে স্থানীয়রা মারাত্মক সমস্যায় ভোগেন। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার লোকজন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করেন। এছাড়া উপজেলার রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ও চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের একাংশের কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে যোগাযোগ রক্ষা করেন। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যেকোনে সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ময়লা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ ও ক্ষতিকর ধোঁয়া ও প্রতিদিন সহ্য করতে হয়। ধোঁয়ার কারণে মহাসড়কের এই স্থানে কয়েকবার ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। ধোঁয়া না দেওয়ার জন্য আমরা অনেকবার বাধা দিয়েছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জনস্বার্থে এই ব্যাপারে দ্রুততার সহিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...