সংবাদ শিরোনাম :
একসাথে বাঁচব, একসাথে মরব, আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাব না : মামুন মাহমুদ বন্দরে সাংবাদিক হত্যার হুমকি : ডিসি ও এসপিকে স্মারকলিপি প্রদান বগুড়ায় গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল হামলা, যা বললেন সারজিস আলম যারা তথ্য নিয়ে কাজ করেন, তাদের দক্ষ হতে হবে:ডিসি রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ আবু জাফর আহমেদ বাবুল: নারায়ণগঞ্জ-৫-এ মানবিক নেতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে আবু জাফর আহমেদ বাবুলের পক্ষে লিফলেট বিতরণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য জুবায়েদের মরদেহ উদ্ধার  পাঁচ দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা সাতটি দলের নতুন কর্মসূচি উন্নত জীবন ও ভালো থাকার আশায় ১০ বছর বয়সী সন্তান নিয়ে সাঁতরে সমুদ্র পাড়ি দিলেন মা
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

একসাথে বাঁচব, একসাথে মরব, আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাব না : মামুন মাহমুদ

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৩৯ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রায় তিনশত পরিবারের মধ্যে মশারী বিতরণ করা হয় এবং একইসঙ্গে এলাকায় ৩১ দফা কর্মসূচির প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ করা হয়।

আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আদমজী বিহারী ক্যাম্পের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, এবং যুবদল নেতা ওয়াসিম আসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, “স্বাধীনতার ৪০ বছর পার হলেও এই এলাকার মানুষ বহুদিন নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তারা ভোটার ছিলেন না, ফলে শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি এমনকি সামাজিক মর্যাদাও ছিল অনিশ্চিত। ২০০৩ সালে একটি রিটের মাধ্যমে এই প্রশ্ন ওঠে—আপনারা কি এই দেশের নাগরিক হিসেবে ভোটার হতে পারবেন কি না। সেই রায়ের ভিত্তিতে ২০০৮ সালে আপনাদের ভোটার করা হয়।”

 

তিনি বলেন, “আমি তখন আপনাদের পাশে ছিলাম। নিজে উদ্যোগ নিয়ে অনেককে ভোটার হতে সহযোগিতা করেছি। কারণ, আমি বিশ্বাস করতাম—ভোটার হলে তবেই মানুষ নাগরিক মর্যাদা পায়, স্কুলে সন্তানকে পাঠাতে পারে, বিয়েশাদি, চাকরি, এমনকি রাজনীতিতেও অংশ নিতে পারে। তখন অনেকে চেয়েছিল আপনাদের ভোটার না করতে, কিন্তু আমি বলেছিলাম—না, তারা আমাদের ভাই, আমাদের সমাজের অংশ। আমরা একসাথে বাঁচবো, একসাথে মরবো।”

তিনি জানান, বর্তমানে আদমজী বিহারী ক্যাম্পে ৭ হাজারেরও বেশি ভোটার রয়েছেন, যেখানে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ভোটার হতে পারায় তারা এখন সম্মানের সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বসবাস করছেন।

বক্তব্যে বিতারিত আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে অধ্যাপক মামুন বলেন, “গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংস করেছে—শাসনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা—কোনো কিছুই সুষ্ঠু নেই। তারা ভোটাধিকার হরণ করেছে, মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যে দেশে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না, সে দেশ কেমন করে গণতান্ত্রিক দেশ হয়?”

তিনি আরও বলেন, “মাদক, দুর্নীতি, লুটপাট আজ চরমে। শেখ হাসিনার শাসনামলেই মাদকের বিস্তার ঘটেছে। আজ যুবসমাজ ধ্বংসের পথে, নৈতিক অবক্ষয় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।”

তারেক রহমানের ৩১ দফার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই ৩১ দফা রাষ্ট্রের নতুন কাঠামো নির্মাণের রূপরেখা। আমরা আর এই ধ্বংসস্তূপে বসবাস করতে চাই না। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই—যেখানে সবার অধিকার থাকবে, ন্যায়বিচার থাকবে, ভোটের অধিকার থাকবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির লক্ষ্য।”

অধ্যাপক মামুন বলেন, “আমি জানি, আপনারা অন্তর থেকে কখনোই নৌকার সমর্থক ছিলেন না। কিন্তু আপনাদের জোর করে মিছিলে নেওয়া হতো, মঞ্চে দাঁড় করিয়ে বলা হতো ‘নৌকা নৌকা’। অথচ আপনাদের মন ছিল ধানের শীষে, খালেদা জিয়ার পক্ষে। আজ সেই অত্যাচারের দিন শেষ হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছি। এখন মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছি। আমরা আপনাদের পাশে থাকতে চাই, যেমনটা আগে থেকেছি। আবারও বলছি—ভালো প্রার্থী এলে ধানের শীষে ভোট দিন। একসাথে বাঁচব, একসাথে মরব—আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাব না।”

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..