পহেলা জুলাই, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন—জুলাই বিপ্লবের স্মরণে ঢাকার অভিজাত বারিধারা কূটনৈতিক অঞ্চলে উদ্বোধন করা হলো ‘নেক্সাস ক্যাফে প্যালেস ও জুলাই বিপ্লব স্মারক গ্রন্থাগার’। এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি ছিল ব্যতিক্রমী, অর্থবহ এবং আন্তর্জতিক অতিথিদের উপস্থিতিতে এক অনন্য সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওথমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আর্জেন্টিনা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সিসা। তাদের উপস্থিতি এই মহৎ প্রয়াসের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সমর্থনের প্রতিফলন।
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক এবং জিএস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত নেক্সাস ক্যাফে প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিনা কো প্রধান। তাঁর দূরদর্শী চিন্তা এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসার ফলেই এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি বাস্তব রূপ পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও সমাজ সংগঠক সেলিম প্রধান বলেন, “নেক্সাস ক্যাফে প্যালেস কেবল একটি ক্যাফে বা লাইব্রেরি নয়, এটি একটি জাতির বৈপ্লবিক চেতনার ধারক। এটি ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য লড়াই করা ব্যক্তিদের সম্মান জানাতে প্রতিষ্ঠিত এক জীবন্ত স্মৃতিস্তম্ভ।”
এখানে কেবল বইয়ের সংগ্রহই নয়, থাকবে গবেষণার সুযোগ, ইতিহাসভিত্তিক সাংস্কৃতিক আয়োজন, আলোচনা সভা এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার নানা উদ্যোগ। এটি হবে নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস, যারা ইতিহাস জানতে, বুঝতে এবং দেশকে ভালবাসতে শিখবে।
বিশ্বমানের ক্যাফে এবং জ্ঞানভিত্তিক গ্রন্থাগারের এই যুগল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুধু একটি চমৎকার স্থাপনার উদ্বোধন হয়নি, বরং একটি আদর্শের সূচনা হলো—যেখানে জ্ঞান, সংস্কৃতি ও ইতিহাস একসঙ্গে বাঁচবে এবং বাঁচাবে।
নেক্সাস ক্যাফে প্যালেস ও জুলাই বিপ্লব স্মারক গ্রন্থাগার এখন থেকে শুধু বারিধারার গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকবে না, এটি হয়ে উঠবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনার এক অনন্য কেন্দ্রবিন্দু। দেশের ইতিহাসপ্রেমী মানুষ ও আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের জন্য এটি হবে আবেগ, শ্রদ্ধা ও প্রেরণার স্থায়ী ঠিকানা।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...