সংবাদ শিরোনাম :
 “২৫ আগস্টের মধ্যে নিজ খরচে সাদাপাথর ফেরত দিন, নইলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা” — জেলা প্রশাসকের হুশিয়ারি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ১০ তারেক রহমানের শুদ্ধি অভিযানে আলোড়ন : সিদ্ধিরগঞ্জে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক জুয়েল রানা ‎বগুড়ায় ৩২টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয় ‎ ট্রাক-প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ ‎বগুড়া শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শুরু হচ্ছে সীমানা নির্ধারণের শুনানি, নারায়ণগঞ্জ তিন আসনসহ পরিবর্তন আনা হয়েছে ৩৯টি ক্ষোভের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত ভাড়া স্থগিত ৯২৫ কোটি টাকার সেতু থেকে উদ্বোধনের পরদিনই বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি অ্যাকশনে নামবে সেনাবাহিনী, যে ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান
সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩০ অপরাহ্ন

নওগাঁর বদলগাছীতে সূর্য বিমুখ দুই দিন:বিপাকে নিন্ম আয়ের মানুষ

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৬৮ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদ নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছীতে। আজ সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে এই জেলা, বেলা ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ পৌরসভার উকিলপাড়া, জগৎসিংহপুর, দয়ালের মোড় ও সদর উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চারদিক কুয়াশায় ঢেকে আছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল কম। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আকাশে মেঘ আছে। কুয়াশাও আছে। গতকাল আবহাওয়া পরিস্থিতি যে রকম ছিল, আজকেও তেমনই থাকবে। বৃষ্টিও হতে পারে। আকাশে মেঘ থাকার কারণে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজকে কিছুটা বেড়েছে। তবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে।

হঠাৎ তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। রোদ না ওঠায় শহরে মানুষের আনাগোনাও কমেছে। যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁরা মোটা ও গরম কাপড় পরে এসেছেন।

আজ সকাল ৯টায় বদলগাছী সদর এলাকায় কথা হয় ভ্যানচালক নজরুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম  (৬০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এত দিন ঠান্ডা পড়লেও দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিলছিল। কালকা (গতকাল) থ্যাকে তো সূর্যের দেখাই নাই। কুয়াশাত রাস্তা ঠিকমতো দেখা যাওছে না। বড় গাড়ি সামনত থ্যাকে লাইট দিলে তো আরও কিছু দেখা যাওছে না। জান হাতত লিয়ে রাস্তাত ভাড়া মারোছি।’

ঐতিহাসিক পাহাড়পুরের তুহিন হাসান রাকিব বলেন, অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবন চলাচল কঠিন হয়ে গেছে, খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে দূর্ব্যবস্থায় বসবাস করছেন।

শহরের হাটখোলা বাজার  এলাকায় আনন্দ  হোটেলের পল্টু মহন্ত বলেন, ‘যে শহরত সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মানুষ ভরপুর থাকে, সেই শহরত অ্যাখন মানুষ নাই। ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে এক্যাবারে জরুরি কাম না থাকলে মানুষ ঘরত থ্যাকে ব্যাইর হছে না। গতকাল সারা দিন মাত্র আট হাজার টাকার বিক্রি হছে। অথচ অন্য সময় শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের যেকোনো দিন কমপক্ষে ২০ হাজার টাকার বিক্রি হয়।’

 

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
বিশেষ প্রতিনিধি,

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..