সংবাদ শিরোনাম :
 “২৫ আগস্টের মধ্যে নিজ খরচে সাদাপাথর ফেরত দিন, নইলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা” — জেলা প্রশাসকের হুশিয়ারি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ১০ তারেক রহমানের শুদ্ধি অভিযানে আলোড়ন : সিদ্ধিরগঞ্জে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক জুয়েল রানা ‎বগুড়ায় ৩২টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয় ‎ ট্রাক-প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ ‎বগুড়া শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শুরু হচ্ছে সীমানা নির্ধারণের শুনানি, নারায়ণগঞ্জ তিন আসনসহ পরিবর্তন আনা হয়েছে ৩৯টি ক্ষোভের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত ভাড়া স্থগিত ৯২৫ কোটি টাকার সেতু থেকে উদ্বোধনের পরদিনই বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি অ্যাকশনে নামবে সেনাবাহিনী, যে ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান
সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন

নন্দীপাড়ায় মসজিদের হিসেব নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বক্তব্য, উত্তাপ, কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা চায় না এলাকাবাসী

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৬৯ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

নগরীর নন্দীপাড়া এলাকার বায়তুল মাহফুজ জামে মসজিদের হিসেব নিয়ে চলছে পক্ষে বিপক্ষে নানা বক্তব্য। একপক্ষ বলছে, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর যাবৎ এ মসজিদের আয় ব্যয়ের কোন হিসেবই দিচ্ছেনা মসজিদ কমিটি। কারণ, কমিটি মসজিদের টাকা লুটপাট করে খাওয়ার কারণে এ হিসেব দিতে চাচ্ছেনা। দীর্ঘ প্রায় ষোলটি বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান ও তার ভাই সেলিম ওসমানের সাথে সখ্যতা গড়ে এ মসজিদের সকল অর্থ লুটেপুটে খেয়েছে কমিটি, এমন অভিযোগও করেন তারা।

তবে অন্যপক্ষটি প্রমাণ সাপেক্ষে বলছে মসজিদের সকল আয় ব্যয়ের হিসেব গত ২রা আগস্ট মাসে একটি মিটিং শেষে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ বোরহান উদ্দিন ও সহ কোষাধ্যক্ষ মসজিদের সাবেক মোতাওয়াল্লির ছেলে তুহিন এ হিসেব বুঝিয়ে দেন। যারা বলছে হিসেব দেয়া হয়নি, তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার লক্ষ্যে শুধু শুধু উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ডস্থ নন্দীপাড়া এলাকার এ মসজিদটি প্রাচীনতম মসজিদ। গোটা শহরবাসীর কাছে পরিচিত এ মসজিদটি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ শাসনামলে তাদের দোসরা এ মসজিদটাকে লুটেপুটে খেয়েছেন। সাবেক প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের তাদের সখ্যতা খুব গভীর ছিলো। তাই ভয়ে অনেকে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন নি। বার বার মসজিদের হিসেব চাওয়া হলেও তালবাহানা করে সময় পাড় করেছেন। আবার অনেক সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মুসল্লিদের ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মুখ বন্ধ করে রেখেছেন। এখন পর্যন্ত এ মসজিদটির জন্য একজন মোতাওয়াল্লিও নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে সকল প্রকার জবাবদিহিতার বাইরে রয়েছিলেন তারা। তাছাড়া হিসেব না দেওয়ার কারণে মসজিদের অনেক উন্নয়নও ব্যহত হচ্ছে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, আসলে এ বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে এলাকাবাসীর মনে এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছে। এ উত্তেজনা যেকোনো সময় সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। তাই কোন প্রকার সংঘাত সংঘর্ষের আগেই কমিটির উচিত মসজিদের হিসেব সবার সামনে উপস্থাপন করা। কেননা, আমরা এ হিসেব নিয়ে কোনো ধরনের সংঘাত সংঘর্ষ চাই না। আমরা চাই, সবাই একসাথে মিলে মিশে চলতে।
এ বিষয়ে মসজিদের সভাপতি ও ১৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো: শফিউদ্দিন প্রধান বলেন, হিসেব না দেয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ আমাকে বলেনি, আপনার মুখে এ প্রথম শুনলাম। আমরা গত আগস্ট মাসের ২ তারিখে একটি মিটিং শেষে ৭০/৮০ জনের উপস্থিতিতে সমস্ত হিসেবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ বোরহান উদ্দিন ও সহ কোষাধ্যক্ষ মসজিদের সাবেক মোতাওয়াল্লির ছেলে তুহিন এ হিসেব বুঝিয়ে দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এ মসজিদ নিয়ে এ পর্যন্ত কোন রাজনীতি হয় নাই। আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত কোন রাজনীতিবিদ এ কমিটিতে নেই। তারা মিথ্যে অভিযোগ করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..