সংবাদ শিরোনাম :
অগ্নিকাণ্ডে বসতবাড়িসহ চারটি গরু ও দুইটি ছাগলের মৃত্যু ব্র্যাকের উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আমন ধান বীজ বিতরণ রহিমা নওশের আলী ডিগ্রি কলেজের সভাপতির পদে শহিদুল ইসলাম বাবলু পুনর্বহাল প্রান্ত্রিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ক্যাডার কর্তৃক জোর করে দোকান দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বন্দরে অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরে গরু নামানোর ভিডিও ধারণ করায় তিন সাংবাদিকের ওপর হামলা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে টিপুর তৃতীয় দিনের দোয়া ও মিলাদ জলাবদ্ধতা নিরসনে মানববন্ধন স্মারকলিপি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লা ৩ নং ওয়ার্ডে দোয়া ও তোবারক বিতরণ  হিন্দু পাড়ার রাস্তাটি জনগণের চলাচলের জন্য একটি মরণ ফাঁদ
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:১৪ অপরাহ্ন

নারায়নগঞ্জের ব্যস্ততম এলাকা ২নং রেলগেটে ফেলা হচ্ছে না ক্রসিংবার, ঝুঁকিতে যানবাহন ও সাধারণ পথচারী

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৬০ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা ২নং রেলগেট। এ রেলগেটে ফেলা হচ্ছে না ক্রসিংবার কিংবা বেরিয়ার। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে যেমন যানবাহন তেমনি সাধারণ যাত্রী, পথচারী। সামান্য একটু অসতর্কতার কারণে এখানে ঘটতে পারে যে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

শনিবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ২নং রেলগেট এলাকায় ৪টা ক্রসিংবারের মধ্যে ৩টিই বিকল হয়ে পড়ে আছে। যারফলে বাধ্য হয়েই রশি দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছে যানবাহন ও যাত্রীদের। কিন্তু তাদের এ ব্যারিকেড মানতে চাচ্ছেনা কেউ। ফলে গেট আটকে রাখা হলেও সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেলের চলাচল রোধ করা যায় না। ট্রেন আসার মাত্র দুই থেকে তিন সেকেন্ড আগেও যখন ট্রেন থেকে বার বার হর্ণ বাজানো হচ্ছে, তখনও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ লেভেল ক্রসিং পার হচ্ছে। লেভেল ক্রসিংয়ের দায়িত্বরত গেটম্যান হাত ধরে টেনেও মানুষের চলাচল রোধ করতে পারছেন না। বাধা দিতে গেলে উল্টো গালমন্দ খেতে হচ্ছে তাদের। ফলে ২নং রেলগেটের লেভেল ক্রসিংগুলো অনেকটা মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে নগরবাসী প্রায় সময় আতকে উঠলেও বিকল থাকা ক্রসিংবারগুলো দ্রুত মেরামতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত এক গেটম্যান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের তিনটি গেট ভাঙ্গা। আমরা মাস্টারকে জানাইছি, তিনি দ্রুত মেরামত করবেন বলে জানিয়েছেন। শহরে অনেক যানবাহন, প্রচন্ড জ্যাম। আমাদের রশি দিয়ে ব্যারিকেড দিতে হিমশিম খেতে হয়। তারপরও মানুষ কথা শুনে না। ব্যারিকেড দিলেও মানুষ রেললাইনের ওপর দিয়ে চলাচল করে। বিশেষ করে হুন্ডাগুলো বেশি চলাচল করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৪টা লোক গেটের দায়িত্বে আছি। তবুও আমরা কোনভাবেই কন্ট্রোল করতে পারছিনা। যে কোন সময় দুর্ঘনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় পথচারী সবুজ বলেন, প্রথমে খেয়াল করেনি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেখছি, তারা ক্রসিংবার না ফেলে রশি দিয়ে যানবাহন আটকে রাখে। খবর নিয়ে জানলাম, তিনটি ক্রসিংবার নষ্ট। জানিনা ওগুলো কবে ঠিক হবে। তবে ক্রসিংবার ছাড়া এভাবে যানবাহন আটকে রাখা সত্যিই কঠিন। কেউ তাদের নির্দেশনা মানতে চায় না। অনেক যানবাহনকেই দেখলাম ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে রেলকর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
একই বিষয়ে সচেতন নগরবাসী বলেন, এটা সম্পূর্ণ নারায়ণগঞ্জ স্টেশন মাস্টারের গাফলতি। তারা সরকারি চাকুরি করলেও ঠিকমত নিজের দায়িত্বটুকু পালন করেন না। তাদের কারণেই এখনও পর্যন্ত ব্যস্ততম এ সড়কের ক্রসিংবারগুলো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। বড় ধরনের কোন অঘটন না হওয়া পর্যন্ত এঁরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। আর ঘটনা ঘটলেই এই কমিটি, ওই কমিটি গঠন করে দায় সারাবার চেষ্টা করে। আসলে এদের মত দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকারি কর্মকর্তাদের কারণে এখনও দেশের এ অবস্থা। যদি দ্রুত ওই ক্রসিংবারগুলো মেরামত করা না হয়, তাহলে স্টেশন মাস্টারের অপসারনের জন্য আমরা মাঠে নামবো। এমন কর্মকর্তাদের আর নারায়ণগঞ্জে জায়গা দেয়া হবে না।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম খান বলেন, মিস্ত্রী দিয়ে কালকের (আজ) মধ্যেই গেটগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করবো।
‘এতদিন ক্রসিংবারগুলো কেন মেরামত করা হলো না’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে ভাই মিস্ত্রীরা যদি কাজ করতে না চায় তাহলে আমরা কি করবো বলেন।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..