প্রতিবছর বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগেই জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফতুল্লার নিষ্কাশন খালগুলো সংস্কার করা হয়।
কিন্তু এ বছর প্রশাসনের উদাসীনতায় বর্ষাকাল আসার আগে থেকেই ফতুল্লার নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই খোদ সদর উপজেলা পরিষদের চারপাশের রাস্তাঘাতই ময়লা পানিতে ডুবে আছে।
কারণ উপজেলা পরিষদের পাশের খালগুলো পলি জমে ভরাট হয়ে আছে- অথচ নির্বিকার বসে আছেন সদরের ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী ও প্রকল্প পরিচালক।
এসব খাল ভরাট হয়ে পড়ায় আশপাশের এলাকায় ঘরবাড়ি থেকে পয়োবর্জ্য পর্যন্ত এখন খালে এসে পড়তে পারছে না। এসব নোংরা পানি এখন এলাকার রাস্তাঘাটে জমে ভয়ানক বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে শিবু মার্কেট পর্যন্ত লিংক রোডটির দুই পাশ ও ডিএনডির খাল এখন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। এতে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
অথচ প্রশাসনের এ নিয়ে কোন বিকার নেই। নতুন ইউএনও জানেনই না একাজ তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে দ্রুত নিস্কাশন খাল সংস্কারের দাবিতে সদর উপজেলার আশপাশ এলাকার মানুষ রোববার উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে এলাকার লোকজন, সদর থানার ইউএনও জাফর সাদিকের বিরুদ্ধে খাল সংস্কারের ব্যাপারে চরম উদাসীনতার অভিযোগ করেন। বিক্ষোভ শেষে উপজেলা পরিষদের আশপাশের লোকজন ইউএনওর কার্যালয়ে গেলেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তারা। তার পিএস জানিয়েছেন, ইউএনও ‘স্যার’ এখন গরুরহাটের ইজারা নিয়ে ব্যস্ত।
সদরের ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলা পরিষদের গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, তিনি (ইউএনও) যে জনগণের সেবক সে কথা ভুলে গিয়ে এখানে তিনি নিজেকে রাজা হিসেবে জাহিরে ব্যস্ত। স্থানীয় লোকজন কোন সমস্যা নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি বিরক্ত হন। এলাকাবাসী এ ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় একজন চৌকস, মেধাবী ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ইউএনও চান এলাকাবাসী এবং দ্রুত ফতুল্লার গুরুত্বপূর্ণ খালগুলোর তলানিতে জমে থাকা পলি সরিয়ে জলাবদ্ধতা দূর করার দাবি জানান।
খাল পরিস্কারে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে সদর উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ফতুল্লার গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি খাল আগে পরিস্কার করার উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে, কোন পাঁচটি খাল, তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...