সংবাদ শিরোনাম :
 “২৫ আগস্টের মধ্যে নিজ খরচে সাদাপাথর ফেরত দিন, নইলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা” — জেলা প্রশাসকের হুশিয়ারি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ১০ তারেক রহমানের শুদ্ধি অভিযানে আলোড়ন : সিদ্ধিরগঞ্জে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক জুয়েল রানা ‎বগুড়ায় ৩২টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয় ‎ ট্রাক-প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ ‎বগুড়া শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শুরু হচ্ছে সীমানা নির্ধারণের শুনানি, নারায়ণগঞ্জ তিন আসনসহ পরিবর্তন আনা হয়েছে ৩৯টি ক্ষোভের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত ভাড়া স্থগিত ৯২৫ কোটি টাকার সেতু থেকে উদ্বোধনের পরদিনই বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি অ্যাকশনে নামবে সেনাবাহিনী, যে ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান
সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ন

‎মডেল মাসুদের পক্ষে দেওভোগে ক্ষতিগ্রস্থ স্কুল পরিদর্শন করলেন মনির

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ১৩১ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

দেওভোগ পাক্কারোড এলাকায় একটি বহুতল ভবনের পাইলিং কাজের কারণে ‘দেওভোগ সরকারী প্রাথমিক বালক বালিকা বিদ্যালয়’-এ শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। এতে আতঙ্ক হয়ে পড়েন স্কুলটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা স্কুলটিতে পাঠদানের জন্য তাদের সন্তানদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে বর্তমানে স্কুলটিতে পাঠদান প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ছে।

‎এদিকে এ অবস্থায় স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন মডেল গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক মনির হোসেন সরদার। মডেল গ্রুপের ব্যবস্থপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামানের পক্ষে তিনি এ স্কুলটি পরিদর্শনে আসেন বলে জানাগেছে। এসময় তার সাথে ছিলেন, মডেল গ্রুপের চীফ ইঞ্জিনিয়ার মো: আল আমিন, মহানগর যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জাকির হোসেন সেন্টু ও সরকার আলমসহ আরও অনেকে।

‎স্কুলটি পরিদর্শন শেষে মনির হোসেন সরদার সাংবাদিকদের জানান, স্কুলটির আশেপাশে বড় বড় ফাটল থাকলেও স্কুলের ভবনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবুও আমরা একটি ভবনের জন্য চেষ্টা করবো।

‎এদিকে ইঞ্জিনিয়ার মো: আল আমিন প্রায় একই কথা বলেন। তিনি বলেন, পুরো স্কুল ভবনটি আমরা ঘুরে দেখেছি। ভবনে কোন ফাটল আমরা পাইনি। ভবনটি ঠিক আছে। তবে ভবনের আশে পাশে যে ফাটলগুলো আছে সেই ফাটগুলোকে বন্ধ করে কিছুদিন দেখা যেতে পারে ভবনটি হেলে যায় কি না? তবে তাদের কথায় আশ^স্ত হতে পারেননি অভিভাবকরা। তারা উপস্থিত সকলের সামনে এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

‎অভিভাবকরা বলেন, বর্তমানে আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। এ স্কুলে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চারা পড়াশোনা করে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুব বেশি টেনশনে আছি। কারণ, যে কোন মহুর্তে ভবনটি ভেঙ্গে পড়তে পারে।
‎তারা ইঞ্জিনিয়ার আল আমিনকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আপনি বলছেন ভবনটি ঠিক আছে। কিন্তু সরকারী ইঞ্জিনিয়ার এসে সব পরীক্ষা করে আমাদের বলে গেছে ভবনটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় আমরা কিছুতেই আমাদের বাচ্চাদের এ স্কুলে পাঠাতে পারি না।
‎অভিভাবকরা বলেন, আপনারা প্রয়োজনে এ স্কুলে পাঠদান বন্ধ রেখে অন্যত্র পাঠদানের ব্যবস্থা করেন। কারণ, আমাদের বাচ্চাদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা শুনেছি, আমাদের পাশেই মর্গ্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বহু ভবণ অকার্যকর হয়ে পড়ে রয়েছে, এছাড়া চারুকলা কলেজেও এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আপনারা প্রয়োজনে তাদের সাথে কথা বলে আপাতত পাঠদান কার্যক্রম চলমান রাখতে পারেন।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..