সংবাদ শিরোনাম :
 “২৫ আগস্টের মধ্যে নিজ খরচে সাদাপাথর ফেরত দিন, নইলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা” — জেলা প্রশাসকের হুশিয়ারি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ১০ তারেক রহমানের শুদ্ধি অভিযানে আলোড়ন : সিদ্ধিরগঞ্জে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক জুয়েল রানা ‎বগুড়ায় ৩২টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয় ‎ ট্রাক-প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ ‎বগুড়া শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শুরু হচ্ছে সীমানা নির্ধারণের শুনানি, নারায়ণগঞ্জ তিন আসনসহ পরিবর্তন আনা হয়েছে ৩৯টি ক্ষোভের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত ভাড়া স্থগিত ৯২৫ কোটি টাকার সেতু থেকে উদ্বোধনের পরদিনই বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি অ্যাকশনে নামবে সেনাবাহিনী, যে ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান
সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ন

সরকারি জমি দখলের অভিযোগ পোষ্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে

আশিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি / ১২৮ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী লাল মিয়া জানান, করোনা মহামারির সময় তিনি বাবুল মিয়ার কাছ থেকে ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেন সেই জমি না মেপেই জোরপূর্বক তার বসতবাড়ির অংশসহ অতিরিক্ত সরকারি জায়গাও দখল করে নেন।

লাল মিয়ার অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় গেলে পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হত্যার হুমকি দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় গ্রাম পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ জানানো হলে তারা জায়গাটি সঠিকভাবে মেপে বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু আলম হোসেন সেই সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং সরকারি পদবির প্রভাব দেখিয়ে জমিটি দখল করে রাখেন।

তিনি শুধু নিজের ক্রয়কৃত জমিতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং সরকারি জায়গা দখল করে ট্রাকযোগে মাটি ফেলে এবং চারপাশে টিনের বেড়া দিয়ে নিজ নামে মালিকানা দাবি করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই জায়গায় আগে একটি ক্লাব ঘর ছিল এবং সরকারি বরাদ্দে ক্লাবটি সংস্কারের প্রক্রিয়া চলছিল।

এ বিষয়ে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি সরকারি জায়গায় মাটি ভরাট বন্ধ করতে বলেন। তবে পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেন ওই নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় জায়গাটি দখলের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী লাল মিয়া সাংবাদিকদের ডেকে আনেন এবং অভিযোগ দাখিল করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেন বলেন, “আমি ১০ শতক জায়গা কিনেছি এবং ওই ১০ শতকের মধ্যেই বাউন্ডারি দিয়েছি। যদি কোনোভাবে অতিরিক্ত জায়গা দখল হয়ে থাকে, তাহলে আমি তা খালি করে দেব।”

তবে স্থানীয়রা দাবি করছেন, এটি সরকারি সম্পত্তি, যেখানে একটি ক্লাব ঘর ছিল এবং সেটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এলাকাবাসীর জোর দাবি, জায়গাটি দ্রুত পুনরুদ্ধার করে ক্লাবের সংস্কারকাজ শুরু করতে হবে এবং দখলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..