সংবাদ শিরোনাম :
 “২৫ আগস্টের মধ্যে নিজ খরচে সাদাপাথর ফেরত দিন, নইলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা” — জেলা প্রশাসকের হুশিয়ারি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ১০ তারেক রহমানের শুদ্ধি অভিযানে আলোড়ন : সিদ্ধিরগঞ্জে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক জুয়েল রানা ‎বগুড়ায় ৩২টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয় ‎ ট্রাক-প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ ‎বগুড়া শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শুরু হচ্ছে সীমানা নির্ধারণের শুনানি, নারায়ণগঞ্জ তিন আসনসহ পরিবর্তন আনা হয়েছে ৩৯টি ক্ষোভের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত ভাড়া স্থগিত ৯২৫ কোটি টাকার সেতু থেকে উদ্বোধনের পরদিনই বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি অ্যাকশনে নামবে সেনাবাহিনী, যে ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান
সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

তারেক রহমানের শুদ্ধি অভিযানে আলোড়ন : সিদ্ধিরগঞ্জে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক জুয়েল রানা

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৫৮ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুদ্ধি অভিযান দেশব্যাপী নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই অভিযানের ধারাবাহিকতায় প্রশাসনও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। নারায়ণগঞ্জেও এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপকভাবে। প্রশাসন এখন দলের নাম ভাঙিয়ে কিংবা বহিরাগত পরিচয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে এবং একাধিক ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনছে।

এই প্রক্রিয়ায় সাংবাদিক সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গোপন তথ্য, সরেজমিন অনুসন্ধান ও বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য তারা প্রচার করছে, যা শুদ্ধি অভিযানে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। তবে এরই মাঝে কিছু ক্ষেত্রে সত্যের আড়ালে মিথ্যা অভিযোগ বা উদ্দেশ্যমূলক তথ্য সাংবাদিকদের দিয়ে অপপ্রচারও ছড়ানো হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেক পরিচ্ছন্ন ও সৎ ইমেজের নেতাকর্মী।

এমনই একজন হচ্ছেন সিদ্ধিরগঞ্জের ১ নং ওয়ার্ড মুজিববাগের বিএনপি নেতা নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ জুয়েল রানা।

ছাত্র রাজনীতি থেকে আজ অবধি : ২০০১ সালে এসএসসি পাশ করার পর থেকেই জুয়েল রানা সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন। ছাত্রদল দিয়ে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হলেও আজ পর্যন্ত তিনি দলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে নীতি ও নৈতিকতাকে আঁকড়ে তিনি রাজনীতি করেছেন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে অসংখ্য রাজনৈতিক মামলা হলেও, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি কিংবা অন্য কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ কখনোই প্রমাণিত হয়নি।

সুবিধাবাদীদের ভিড়ে আলাদা তিনি : ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপির নাম ব্যবহার করে অনেকেই ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। কেউ রাতারাতি সম্পদশালী হয়েছেন, কেউ দখলবাজি, চাঁদাবাজি কিংবা ঠিকাদারির ব্যবসায় জড়িয়েছেন।

কিন্তু জুয়েল রানা ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি কখনো নেতাদের ছবি টাঙিয়ে রাজনৈতিক অফিস সাজাননি, বরং নিজ কার্যালয়ের ছয় হাজার টাকা ভাড়া নিজের পকেট থেকে পরিশোধ করেছেন। তার কার্যালয় ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত—সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে এলাকার মুরুব্বীরা সেখানে অবলীলায় যাতায়াত করেছেন।

অন্যদিকে, যেখানে অনেক নেতাকে নির্মাণ সামগ্রী ও ঠিকাদারির ব্যবসায় জড়িত থাকতে দেখা গেছে, সেখানে জুয়েল রানা কখনো একটি ভবনের জন্য এক ঝুড়ি বালিও সরবরাহ করেননি।

সাধারণ মানুষের অভিমত

এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুয়েল রানা একজন সৎ, নীতিবান ও সাধারণ জীবনযাপনকারী রাজনৈতিক কর্মী। তাদের মতে, তার বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা অভিযোগগুলো আসলে তার ইমেজ নষ্ট করার অপপ্রচার।

জুয়েল রানার দৃঢ় বক্তব্য

অপপ্রচারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মোহাম্মদ জুয়েল রানা বলেন—
“আমার নামে যদি কেউ অন্যায় বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ দিতে পারে, তবে আমি নিজেই স্বেচ্ছায় শাস্তি মাথা পেতে নেব। প্রয়োজনে রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে ফাঁসির দড়ি গলায় পরতেও আমার দ্বিধা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি তার কাছে কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার নয়; বরং শহীদ জিয়ার আদর্শ ও তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় মানুষের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার।

তারেক রহমানের শুদ্ধি অভিযানে যেমন অসৎ ও সুবিধাবাদীরা চিহ্নিত হচ্ছেন, তেমনি সামনে আসছে প্রকৃত নীতিবান ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিকরা। সিদ্ধিরগঞ্জের মোহাম্মদ জুয়েল রানা তাদেরই একজন, যিনি রাজনীতিকে দেখেন আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে, ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..