বাংলাদেশের ফুটবলের গৌরবময় ইতিহাস আজ যেন ধুলো মাখা অতীত। অথচ এই খেলায় এক সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। দেশসেরা অনেক ফুটবলার উঠে এসেছিলেন এই শিল্পনগরী থেকেই এবং জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কালের আবর্তে সেই গৌরব আজ ম্লান হয়ে গেলেও আবারো হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়ে কাজ শুরু করেছে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
oplus_0
এই প্রেক্ষাপটে গত ৬ সেপ্টেম্বর, শনিবার, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন কট মিল মাঠে আয়োজন করা হয় এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান। উদ্যোগটি নেন আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাদিম হাসান মিঠু।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মামুন মাহমুদ তার বক্তব্যে অতীতের গৌরবময় সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ ছিল বাংলাদেশের ফুটবলের এক উর্বর ক্ষেত্র। এখান থেকেই বহু কিংবদন্তি খেলোয়াড় দেশের গর্ব হয়ে উঠেছিলেন। আজ সেই ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও আমরা সবাই চাই, ফুটবলের সেই দিন আবার ফিরে আসুক।”
তিনি আয়োজকদের প্রশংসা করে এই ধরণের কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
খেলা চলাকালে মাঠের চারপাশে ভিড় করেন অসংখ্য দর্শক। দুই দলের খেলোয়াড়দের নৈপুণ্যে দর্শকেরা মুগ্ধ হয়ে থাকেন। নির্ধারিত সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় খেলা ড্র ঘোষিত হয়। তবে দর্শকের উচ্ছ্বাসে ম্যাচটি পরিণত হয় এক উৎসবে।
খেলা শেষে পাঁচটি স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠনের মাঝে অনুশীলনের জন্য ফুটবল বিতরণ করা হয়। আয়োজক নাদিম হাসান মিঠু বলেন, “নারায়ণগঞ্জের মাঠগুলো আবার সরগরম হবে, তরুণরা খেলাধুলায় ফিরবে—এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা কাজ করছি। ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা আমাদের মূল লক্ষ্য।”
স্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াপ্রেমীরা মনে করছেন, এ ধরনের উদ্যোগই পারে নারায়ণগঞ্জে ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...