রাজনীতি যখন অনেকের কাছে ক্ষমতা ও প্রতিযোগিতার বিষয়, তখন নারায়ণগঞ্জ-৫ এর সাধারণ মানুষের কাছে আবু জাফর আহমেদ বাবুল হয়ে উঠেছেন ভরসার আরেক নাম।
তার রাজনীতি প্রতিশ্রুতির চেয়ে বাস্তব কাজের ওপর দাঁড়ানো, যেখানে প্রতিটি মানুষই গুরুত্বপূর্ণ—যার সুখ-দুঃখেই তিনি সমানভাবে অংশীদার।
পথে পঙ্গু কোনো অসহায় মানুষকে দেখে তিনি দূরে থাকেন না—নিজ হাতে তুলে নেন বুকে।
এই দৃশ্য যেন তার মানবিক চরিত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নয়, প্রতিদিনকার জীবনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও তিনি মানুষের খোঁজ রাখেন, পাশে দাঁড়ান।
আবু জাফর আহমেদ বাবুল বিশ্বাস করেন, একটি সমাজ গঠনের মূল শক্তি শিক্ষা।
সেই লক্ষ্যেই তিনি স্কুল-কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন। গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে শিক্ষার্থীদের কষ্ট দূর করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিয়েছেন ফ্যান।
শুধু তাই নয়, অনেক স্কুলে নিজ অর্থায়নে বিশুদ্ধ পানির জন্য ফিল্টার মেশিন স্থাপন করেছেন।
আবু জাফর আহমেদ বাবুল মসজিদভিত্তিক সমাজ গঠনে বিশ্বাসী। এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মুতাওয়াল্লীদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি নিয়মিত দেন উপহার ও প্রয়োজনীয় সহায়তা।
অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া যেন তার দায়িত্বের একটি অংশ।
কারও ঘর ভেঙে গেলে, আগুনে পুড়ে গেলে বা পরিবারে বিপদ এলে—তিনি ছুটে যান নিজে, সাহায্য নিয়ে।
এ কারণে এলাকাবাসী বলেন, “বাবুল ভাই পাশে থাকলে কারও কষ্ট বেশিক্ষণ থাকে না।”
আবু জাফর আহমেদ বাবুলের আরেকটি বড় পরিচয় হলো—তার অমায়িক ব্যবহার।
সব বয়সের মানুষই তার সঙ্গে সহজে কথা বলতে পারেন। কারও প্রতি অসদাচরণ নেই, উল্টো থাকে প্রশ্রয় ও সহানুভূতি।
নারায়ণগঞ্জ-৫ এ তিনি আজ শুধুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, হয়ে উঠেছেন একজন আত্মীয়ের মতো—যার নাম উঠলে মানুষের মুখে প্রশান্তির ছায়া নামে।
তার মানবিক নেতৃত্ব, সাহচর্য ও ভালোবাসা-ভিত্তিক রাজনীতি আগামী দিনের জন্য এক আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে—এমনটাই মনে করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এক বৃদ্ধ জানান, “আমার চিকিৎসার খরচ ছিল না। বাবুল ভাই শুনে নিজেই আমার চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেছেন। উনি আমাদের নেতা না, উনি আমাদের ঘরের মানুষ।”
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...