সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিকদের প্রতি তাচ্ছিল্য: নেতা হওয়ার উন্মাদনায় অচিরেই অব্যাহত অবনতি অনিবার্য হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে:  মাওলানা ফেরদাউসুর  ফতুল্লায় চুন্নুর ভাতিজাদের তাণ্ডব, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা! ফতুল্লায় আজমেরী সমর্থকদের ঝটিকা মিছিল’ বিএনপির ধাওয়া বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী ভোক্তা সচেতনতার নবযাত্রা শুরু করলো সিসিএস নারায়ণগঞ্জ বদলগাছীতে দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা দিবস উদযাপন জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একজন নিহত চড়-থাপ্পড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর পায়েল খুন, গ্রেফতার-৪ নাসিকের আহ্বান কোরবানির পশুর হাটের১৭টি স্থান
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

আজমেরী ওসমানের ক্যাডার দেলোয়ার হোসেন দেলু ফের বেপরোয়া

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৪৫ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেলু মিশে যায় বিএনপির ছায়াতলে। এরপর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তরুন দলের পদ বাগিয়ে নিলেও শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা করতে পারেনি।

এরফলে দেলু ফের আত্মগোপনে চলে গেলে আবারও প্রকাশে ফিরেছে স্বরূপে। ফিরেই দেলু ও তার বাহিনী প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হোন্ডা মহড়া দিয়ে সৃষ্টি করছে আতংক। আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগীতায় নেমেছে মাঠে।

সচেতন মহল বলছে সন্ত্রাসী এই দেলুকে আইন-শৃংখলাবাহিনী এখনই না রুখলে বড় ধরণের নাশকতা ও প্রানহানীসহ বিঘ্ন হবে শান্তি শৃংখলা। দেলোয়ার হোসেন দেলু গোদনাইল পাঠানটুলী আইলপাড়া এলাকার শাহজাহান ড্রাইভারের ছেলে ।

জানাগেছে, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর শামীম ওসমানসহ এলাকার অন্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই নারায়ণগঞ্জের হাজী সাহেব হিসেবে পরিচিত আজমেরী ওসমানের আস্থাভাজন সন্ত্রাসী ক্যাডার দেলোয়ার হোসেন দেলু নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য ও ০৮ নং ওয়ার্ড যুবদল এর সভাপতি পদপ্রার্থী বাদশা মিয়া ও ০৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বাবুলের সাথে আতাত করে শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।

বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জের হাজী সাহেব হিসেবে পরিচিত গণহত্যাকারী আজমির ওসমানের হয়ে বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্বশান্ত করে দিয়েছে অনেক পরিবারকে।

এছাড়াও পাঠানটুলী এলাকার যুবলীগের নেতা ভুমিদস্যু শাহজাহান ও তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহর অন্যতম সহযোগি হিসেবে দেলুর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। দেলু মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে দীর্ঘদিন জেলও খেটেছেন। হত্যা, অপহরন, মারামারি, মাদকসহ অস্ত্র মামলা রয়েছে দেলুর বিরুদ্ধে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেলু অস্ত্রসহ সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও আজমিরি ওসমানের সাথেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জনতার উপর গুলি চালিয়েছিল। এরপর স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি নেতা হওয়ার চেষ্টায় দেলু যথেষ্ট টাকা পয়সা খরচ করেছে। মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী হওয়ার পরও প্রকাশ্যে বিএনপির ছত্র ছায়ায় মিশে গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

৮নং ওয়ার্ড বিএনপিসহ সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে দেলু রামরাজত্ব চালাচ্ছে। এই দেলুর কারনে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ে রয়েছে।

এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একজন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী দেলু প্রকাশ্যে হোন্ডার মোহরা দিয়ে আতংক সৃষ্টি করে ঘোরাফেরা করলেও থানা পুলিশ রয়েছে নিরব। অথচ পুলিশ বলছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, বিএনপির কিছু পাতি নেতা ও জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবের শেল্টারে দেলোয়ার হোসেন দেলু বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সভা সেমিনারে দেলু বাহিনীকে ব্যবহার করছে এবং তাকে দিয়ে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরি ও রাহাজানির সাথে উতোপ্রতোভাবে দেলু বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে।

এই দেলু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে অস্ত্র ও মাদক দিয়ে উল্টো প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, পুলিশের খাতায় দেলু পলাতক থাকলেও নারায়ণগঞ্জ শহরের এবং সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তাকে প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে। এলাকার নাশকতা প্রতিরোধ ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের ক্যাডার দেলুকে আইননের আওতায় আনতে পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..