সংবাদ শিরোনাম :
 “২৫ আগস্টের মধ্যে নিজ খরচে সাদাপাথর ফেরত দিন, নইলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা” — জেলা প্রশাসকের হুশিয়ারি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ১০ তারেক রহমানের শুদ্ধি অভিযানে আলোড়ন : সিদ্ধিরগঞ্জে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক জুয়েল রানা ‎বগুড়ায় ৩২টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয় ‎ ট্রাক-প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ ‎বগুড়া শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শুরু হচ্ছে সীমানা নির্ধারণের শুনানি, নারায়ণগঞ্জ তিন আসনসহ পরিবর্তন আনা হয়েছে ৩৯টি ক্ষোভের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত ভাড়া স্থগিত ৯২৫ কোটি টাকার সেতু থেকে উদ্বোধনের পরদিনই বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি অ্যাকশনে নামবে সেনাবাহিনী, যে ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান
সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন

আজ কালের মধ্যেই একটা গ্রুপ কাফনের কাপড় পড়ে রাস্তায় নামার প্রিপারেশান নিচ্ছে : সারজিস

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ১৪৭ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪

নতুন এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস করলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। নিজের ফেইসবুক পেজে স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে এই তথ্য জানান তিনি।

তিনি লিখেন, আহতদের এক গ্রুপের দাবি হলো, ওদের এখন উপদেষ্টা বানাতে হবে।

আজ কালের মধ্যেই একটা গ্রুপ কাফনের কাপড় পড়ে রাস্তায় নামার প্রিপারেশান নিতেছে।

এরা রাস্তায় যাইয়া শুইয়া পড়বে। উপদেষ্টা না করা পর্যন্ত উঠবে না।

অন্যদিকে, সারা দেশে নিউজ করা হবে যে, আহতরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। আওয়ামীলীগের এতিমসহ বিভিন্ন পেইজ থেকে অলরেডি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে।

আরো জোরে শোরে প্রচার করার প্রিপারেশান চলতেছে।

মজার ব্যাপার হলো, এদের মধ্যে অনেকেই ছাত্রলীগের লোকজন। ছাত্রদের হাতে মাইর খাইয়া আহত সেজে এখন আর হাসপাতাল ছাড়তেছে না।

বহু “আহত” নেতারা সারাদিন প্রোগ্রাম করেন। ব্যস্ত সময় পার করে এসে হাসপাতালে ঘুমান। ডাক্তাররা এক মাস আগেই ওদের ছুটি দিয়েছে। সুস্থ ঘোষণা করেছে। বাট এরপরেও ওরা কেউ ছুটি নেয়নি।

হাসপাতালে থেকেই “আহত” পলিটিক্স করতেছে।

এদের এখন দাবি হলো, হাসপাতাল ভিত্তিক নেতা নিয়োগ দিতে হবে। চিন্তা করেন। হাসপাতাল কি রাজনীতি করার জায়গা? একজন আহত মানুষের নেতা হওয়ার শখ থাকে?

আর যখন পুরো ব্যাপারটাকে আওয়ামীলীগের পালাইয়া থাকা অনলাইন এক্টিভিস্টরা প্রমোট করতেছে, তখন এইটাকে কি আর নির্দোষ বলার সুযোগ আছে?

আমার ধারণা পুরো রাজনীতির পেছনে দুইটা কারণ আছে।

১। এদের সাথে ছাত্রলীগের শক্ত যোগাযোগ আছে। এরা এসব করাইতেছে যাতে সাধারণ মানুষ মনে করে যে সরকার আহতদের চিকিৎসা করছে না। এতে পরেরবার কেউ যাতে রাস্তায় না নামে।

২। সরকার আহতদের টাকা আর কার্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এখানে নেতা হতে পারলেই বড় অঙ্কের একটা টাকা মারা যাবে। এমনকি লিস্টে নাম ঢুকানোর বিনিময়েও টাকা খাইতে পারবে।

কথা হলো, এতো সাহস এরা পাইতেসে কই?

কারণ, মানুষের সিমপ্যাথি। বেশিরভাগ এক্টিভিস্ট, টকশোর লোকজন সবাই এদের “আহত” বলে বলে মানুষের মধ্যে সিমপ্যাথি তৈরি করতেছে। এদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে বলতেছে।

অথচ একজন আহত মানুষ কেন উপদেষ্টা হতে চাইবে বা একজন আহত মানুষ কীভাবে সারাদিন অনুষ্ঠান করে এসে রাতে হাসপাতালে ঘুমাবে, এই প্রশ্নটা কেউই করতেছে না।

এই আবেগের ব্যবসাতে সব লাভ ঘরে তুলতেছে লীগ।পেইজে পেইজে ছড়াইয়া দিসে যে আহতরা চিকিৎসা পাইতেছে না।

আমার মনে হয়, সরকারের এবার কঠোর হওয়া উচিত।

আনসারদের মতো নাহলে এরাও কবে বইলা নিজেদের মেরে ফেলে নিজেরাই ঐটা প্রচার করে একটা বিরাট ঝামেলা তৈরি করতে পারে।

মিডিয়াগুলো দয়া করে আবেগের আয়নাটা রেখে সরেজমিনে যান, দেখে তারপর নিউজ করেন ।

আনসার লীগের পর এবার যে সরকার আহত লীগের খপ্পড়ে পড়েছে, এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের কথা আপনারা মানুষকে কেন জানাচ্ছেন না এখনও?

আপনারা বারবার বলতেছেন, চিকিৎসা করেন, চিকিৎসা করেন, চিকিৎসা করেন। অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা করা যায়। বাট সুস্থ মানুষ যখন রাস্তায় শুয়ে উপদেষ্টা হওয়ার দাবি করে, সেইটার চিকিৎসা কী হবে?

 

সূত্র : অনলাইন ডেস্ক 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..