নারায়ণগঞ্জে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়, তবে সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগর আহ্বায়ক রানা ও তার সহযোগী বরকতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। মৌমিতা পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার, রানা ও বরকতের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল মিশনপাড়ার মোড়ে অবস্থান নিয়ে বাসগুলোর চলাচল বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনার ফলে যাত্রীদের মধ্যে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকরা বিষয়টি জানার পরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
মৌমিতা পরিবহনসহ নারায়ণগঞ্জের বেশিরভাগ বাস ৩৮১০ কমিটির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়, কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে এই কমিটির ভেতরেই চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির চক্র সক্রিয়। পরিবহন নেতা রওশনের বক্তব্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, যেখানে তিনি মৌমিতা বাস বন্ধের ঘটনা অস্বীকার করেছেন, কিন্তু যাত্রী ও শ্রমিকরা ভিন্ন অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
৩৮১০ কমিটির নেতারা দাবি করেছেন যে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। রানার মতো চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের ছত্রছায়ায় রয়েছে।
এখন দেখার বিষয় হলো, প্রশাসন এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ নেয় এবং নারায়ণগঞ্জের পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির এই সমস্যা কতদূর গড়ায়। স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...