সময়ের সাথে সাথেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। কোনভাবেই যেন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না এদের। এদের কর্মকাণ্ড দিন দিন আগ্রাসী ও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই বাহিনী চুরি ডাকাতি ছিনতাই হামলা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের শিবু মার্কেট লামাপারা লালক্ষা এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার রাকিব ও তার বাহিনীর দৌরাত্মে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি এই রাকিব বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে গুরুতর জখম হন মাদ্রাসা পড়ুয়া দশম শ্রেণীর ছাত্র হাবিবুর রহমান সানি।
জানা যায়, হাবিবুর রহমান সানি সন্ধ্যা আনুমানিক ছয়টায় শিবু মার্কেটের কামিনী মসজিদের পাশে বন্ধু আবিরের বাড়িতে যায় ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার। কিছুক্ষণ পর সানী বের হয় নিজ বাসায় ফেরার পথে মেইন রোডে নামা মাত্রই ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী রাকিব ও তার বাহিনী সানিকে ধাওয়া দিলে সানী দৌড়াইয়া পুনরায় আবিরের বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলে পিছনে পিছনে রাকিব ও তার বাহিনীর সকাল আহমেদ পাপন,
স্বপন, জাকারিয়া, আশিক সহ ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আবিরের বাসার ভিতরে ঢুকে সিঁড়িতে থাকার সানিকে হাতের রামদা চাপাতি ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সানিকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় আহত সানির চিৎকারে বন্ধু আবির ও আবিরের বাসার লোকজনসহ আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে রাকিব বাহিনী তাদের উপর ও হামলা চালায়। এতে করে সানি ও বন্ধু আবিরসহ একাধিক লোক আহত হয়। এ সময়ে সানি কাঁধে পিঠে চোয়ালে গুরুতর জখম হন। এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসীর জড়ো হলে সন্ত্রাসী রাকিব ও তার বাহিনী পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত সানি ও তার বন্ধু আবিরকে খানপুর ৩০০ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় হাবিবুর রহমান সানির মা হাসিনা হাফিজ হাসি ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ফতুলা মডেল থানার এস আই ইমামুর এ বিষয়ে বলেন, ” আমরা অভিযোগটি পেয়েছি দ্রুতই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। “
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...