ফতুল্লা থানায় আটক এক ব্যক্তিকে ছাড়াতে যুবদল নেতা বডি রতন গিয়েছিলেন—এমন শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো একটি সংবাদকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক ও ভুল বোঝাবুঝি। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা রতনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পেছনের সত্যতা :
জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর সাইফুল ইসলাম পবন নামে একজন যুবককে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের প্রভাবে ‘আওয়ামী লীগের ডেভিল’ আখ্যা দিয়ে আটক করা হয়। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, পবন কোনো সময়ই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না; বরং উপজেলার কয়েকজন নেতার চাপ ও হয়রানির শিকার ছিলেন বিভিন্ন সময়ে।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি পরিবারের সঙ্গে পবনের সুসম্পর্ক থাকলেও, তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে “ডেভিল” হিসেবে সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার দিন রতন ব্যক্তিগত কাজে থানায় গেলে সেখানে পবন তার পরিচিত হিসেবে তাকে দেখে বিষয়টি জানান। রতন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ না করে সেখান থেকে সরে যান। তবে শুধু থানায় তার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রতনের ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, “স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ও সক্রিয় একজন নেতা হওয়ায় তাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চলছে। অথচ তিনি কাউকে ছাড়িয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগই নেননি। থানায় তার উপস্থিতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় বিএনপি ও স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, রতনের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও ত্যাগের প্রতি এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা একধরনের চরিত্রহননের চেষ্টা, যা রাজনৈতিকভাবে অসৎ উদ্দেশ্য বহন করে।
ঘটনার সত্যতা যাচাই না করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কিছু ভুয়া ও বিকৃত সংবাদ রাজনৈতিক পরিবেশকে উত্তপ্ত করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আগামী দিনে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ব্যক্তির ইমেজ নষ্টের প্রবণতা রোধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...