নারায়ণগঞ্জে আলোচিত গডফাদার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের আস্থাভাজন সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং ভুমিদস্যুদের হোতা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের আস্থাভাজন টুন্ডা আলম এখন প্রকাশ্যে।
জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীরা পালিয়ে দেশ ত্যাগ করে। তবে ফতুল্লার রামারবাগের টুন্ডা আলম ও কিছুদিন পালিয়ে গিয়ে গা ডাকা দিয়ে থাকে। কিছুদিন পরে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে এলাকায় ফিরে এসে প্রকাশ্যে তার অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
বহু অপকর্মের হোতা টুন্ডা আলম বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের সাথে আতাত করে এলাকায় ফিরে এসে ফতুল্লা স্টেডিয়ামে ভিতরে পূর্বের ন্যায় অপরাধের ঘাটি বানানো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ফতুল্লা রাবারবাগ এলাকার মৃত ফকির চাঁনের ছেলে আলম ওরফে টুন্ডা আলম আওয়ামী লীগ সরকার আমলে রামার বাগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে। এমনকি শামীম ওসমানের আস্থাভাজন ব্যক্তি মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের আস্থাভাজন হয়ে উঠে। তার হাত ধরে ফতুল্লা স্টেডিয়াম দেখাশোনার চাকরি নেয়। এরপর থেকে এই টুন্ডা আলমের প্রভাব আরো বেড়ে যায়। এর কয়েক বছর পর ফতুল্লা ষ্টেডিয়ামে জলবদ্ধতা হয়ে যাওয়ার পর ষ্টেডিয়ামটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টুন্ডা আলম স্টেডিয়ামের ভিতরে তৈরি করে অপরাধের স্বর্গরাজ্য। আন্তঃজিলা ডাকাত দলের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে ডাকাতির মালামাল স্টেডিয়ামের ভিতরে গোডাউন করে রাখার পাশাপাশি পরিত্যাক্ত স্টেডিয়ামের লোহার মালামালসহ আসবাপত্র চুরি করে রাতের আঁধারে বাহিরে বিক্রি করার বিস্তার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কয়েক বছর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ডাকাতি হওয়া ৩০০ বস্তা চিনি স্টেডিয়ামের ভিতর থেকে উদ্ধার করে। এই বিষয়গুলো এলাকাবাসীর চোখে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। তখন একটি মামলা সহ আলমের চাকরীচুত্য হয়।
এমনকি ৪ ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চাষায়া থেকে শামীম ওসমান সহ তার বাহিনী বিশ্বরোড দিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করার সময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিল শাহ নিজামের আস্থাভাজন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী টুন্ডা আলম। এ ঘটনায় শামীম ওসমান বাহিনীসহ টুন্ডা আলমের বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যার মামলা হয় যাহার মামলা নং ৭১/২০২৫।
এরপরে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর টুন্ডা আলম ও এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। কিছুদিন গা-ডাকা দিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে এলাকায় ফিরে এসে প্রকাশ্যে তার অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলায় দায়ে মামলার আসামী আওয়ামী দোসর বহু অপকর্মের হোতা এখনই টুন্ডা আলমকে দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেএলাকাবাসীর দাবি তার বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...