অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযানকে সাধুসাবধান জানিয়েছে বন্দরের সর্বস্থরের জনগন। অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযানে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলামের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। নাসিক বন্দরের সকল ওর্য়াডেই এ বাহিনীর সদস্যরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড বন্দরের চৌড়াপাড়া এলাকার শফিউদ্দিনের ছেলে বন্দর উপজেলা যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক শাকিল, নেছার উদ্দিনের ছেলে শুভ, চৌড়াপাড়া ঢালডার মিল এলাকার সালামের ছেলে ইমরানসহ ২০/৩০ জনের হোন্ডা বাহিনী রয়েছে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে ধরাকে সরা ঞ্জান করা ছিল যাদের কাজ। ডালঢার মিলে ৫ আগষ্টের পর ট্রাকযোগে মালামাল লোপাট করার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এমনকি ফরাজীকান্দাস্থ শীতলক্ষা সেতু সংলগ্ন বাজারের জায়গা দখল করতে গিয়ে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকেও গুলি ছুড়ে। যে গুলিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভেজ আহমেদ মারা গেলেও সেই হোন্ডা বাহিনীর মূলহোতারা ভোল্ট পাল্টিয়ে বিএনপির হওয়ার পথে। চৌরাপাড়া এলাকার শাকিল, শুভ, ইমরানদের গ্রুপের মধ্যে আগ্নে অস্ত্রও রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওসমানদের দোসর, শহরময় আতংকের নাম হোন্ডা বাহিনীর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলামের প্রতি বিশেষ আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল। সেই সাথে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানিয়েছে।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সন্তান আজমেরী ওসমান। যে প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান আজমেরী ওসমান তাকে সবাই বিভিন্ন নামে ডাকতেন। কেউ ডাকতেন ‘হাজী সাহেব’কেউ যুবরাজ, আবার কেউ ডাকতে আতংকিত হয়ে পড়তো। শহর ও শহরের বাহিরে মিলিয়ে তার ছিল প্রায় ২ হাজারের অধিক সদস্যের সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনী নগরবাসীর কাছে পরিচিত ছিল হোন্ডা বাহিনী হিসেবে। সন্ত্রাসী বাহিনী বেষ্টিত আজমেরী এই শহরে ছিলেন মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম। যে কিনা ঘরে বসেই রিমোর্ট কন্ট্রোল এর মত পুরো নারায়ণগঞ্জের অপরাধ জগৎত নিয়ন্ত্রণ করতেন।
তবে গত ৫ই আগস্টের পূর্বে জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনে আজমেরী ওসমান প্রকাশ্যে তার ডেভিল বাহিনী নিয়ে হামলা চালান। কিন্তু এই হামলার পর আওয়ামীলীগের সরকাররের পতন ঘটলে আজমেরী ওসমান দেশত্যাগ করে পালিয়ে গেলেও তার নিয়ন্ত্রিত ডেভিল বাহিনী অনেকটা প্রকাশ্যে। এরই মধ্যে বন্দরে অন্যতম সদস্য শাওন। নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডস্থ সালাম মিয়ার ছেলে শাওন। ওসমান দোসর হয়ে এমন কোন হীন কাজ নেই যা তাদের গ্রুপ করেনি। কিনা আজমেীর ওসমানের সঙ্গে হোন্ডাবাহিনীর মহড়ায় সামনের সারিতে ছিলেন।
অভিযোগ আছে তার বাহিনীর সদস্যরা এখন ভোল পাল্টে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার কাছে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অনেকেই এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। অথচ বন্দরে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালিত হচ্ছে তারপরও তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। এক সময়ের মূর্তিমান আতংক হোন্ডা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অপারেশন ডেভিড হান্ট’র অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। যাতে আর কোন হোন্ডা বাহিনীর আর্ভিভাব না হয়।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...