এমনই এক চিত্র দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি মুসলিম নগর হাবুলের ব্রিজ এলাকায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় হাবুলের ব্রিজ সংলগ্ন খালের সরকারি জায়গা দখল করে অস্থায়ী দোকান তুলে প্রতি মাসে ভাড়া আদায় করছে শামীম ওসমানের অনুসারী মোখলেসুর রহমান গং। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের পাশে সারি সারি টিনের বেড়া দেওয়া ছোট ছোট অনেকগুলো দোকান তুলে ভাড়া দেয়া আছে। সেখানেই এক দোকানদার লাভলু জানায় সে গত চার বছর যাবত দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছে। কারা এই দোকানের ভাড়া নেয় সে বিষয়ে লাভলু জানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোকলেসুর রহমান তাদের এই দোকান ভাড়া দিয়েছে। দোকান ভেদে অগ্রিম বাবদ ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা নেয় সে। বর্তমানে প্রতি দোকান থেকে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া উঠায় মোকলেস।
অন্য আরেক মুদি দোকানে আজিজুল জানায়, তিনি বিগত আট বছর যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।। দোকানের অগ্রিম ও ভাড়ার টাকা মোকলেস নামক আওয়ামী লীগ নেতাকে দেন বলেও জানান। দোকানে বিদ্যুতে লাইনের বিষয়ে জানা যায় রাস্তার অপর পাশের বাসা বাড়ি থেকে অবৈধভাবে তার টেনে সাবমিটার বসিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয় দোকানগুলিতে।
সরকারি জায়গা এভাবে অবৈধভাবে কিভাবে চালায় এ প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান মোখলেসহ আওয়ামী লীগের মান্নান, অন্তুু, রাজ্জাক, সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, আব্দুর রহিম সহ আওয়ামী লীগের নামধারী ভূমিদস্যুরা এসকল নিয়ন্ত্রণ করত। বিগত দিনগুলোতে এভাবেই চলে আসছে। তাদেরকে তো দেখার কেউ ছিল না।
এলাকার জলাবদ্ধতা যেখানে জনগণের ভোগান্তির কারণ সেখানে সকল খাল দখল ও ভরাট করে চাঁদাবাজি করে জনগণের ভোগান্তির জন্য দায়ী কারা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
আমরা পানিতে ডুবে থাকলে বড় বড় নেতারা আসতো মায়া কান্না দেখাতে। খাল ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ হলে মাঝে মধ্যে খাল সাফ করার নামে করতো মশকরা। মূলত তারা গাছের গোড়া কেটে পানি আগায় ঢালার মতই কাজ করতো আমাদের সাথে। আমাদের বলতো আপনাদের সেবায় দিনরাত কাজ করছি আর অন্যদিকে নিজেদের পকেট ভরতে অবৈধভাবে সরকারি সব কিছু লুটেপুটে খেতো। পাপের ঘড়া পূর্ণ হলে তা নিজে থেকেই ধ্বংস হয়। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও জোরজুলুম কারীরা আজ পালিয়ে গেলেও তাদের কিছু ভূত আজও ঘাড়ে চেপে থাকার পায়তারা করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এ ব্যাপারে দ্রুত কোন পদক্ষেপ নেয় তাই এখন প্রত্যাশা। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে কথায় কথায় ওয়াজ নসিহত করা শামীম ওসমানের দোশররা যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেটাই এখন জনসাধারণ সকলের প্রত্যাশা।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...