সংবাদ শিরোনাম :
রূপগঞ্জ বিএনপি নেতা গোলাম ফারুক খোকনের পিতা আইসিইউতে পাঁচ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদী নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আওয়ামী লীগের হামলা শাজাহানপুরে জামায়াত মনোনীত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ কর্মসূচিকে স্থায়ী ও টেকসই করতে ১০০ Waste Bin স্থাপন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা উজ্জল গ্রেফতার বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে কর্মবিরতিতে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ নির্যাতিত সাংবাদিক বাছিতকে দেখতে হাসপাতালে বিএমএসএফ এর কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুফিজুর রহমান  যমুনার তীব্র ভাঙন: একদিনেই ৫ বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে, হতাশায় এলাকাবাসী  দুই শিশুসন্তানকে ফেলে গৃহবধূ উধাও, মায়ের জন্য কাঁদছে অসুস্থ দুই শিশু
সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন

সরকারি জমি দখলের অভিযোগ পোষ্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে

আশিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি / ১২৯ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী লাল মিয়া জানান, করোনা মহামারির সময় তিনি বাবুল মিয়ার কাছ থেকে ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেন সেই জমি না মেপেই জোরপূর্বক তার বসতবাড়ির অংশসহ অতিরিক্ত সরকারি জায়গাও দখল করে নেন।

লাল মিয়ার অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় গেলে পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হত্যার হুমকি দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় গ্রাম পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ জানানো হলে তারা জায়গাটি সঠিকভাবে মেপে বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু আলম হোসেন সেই সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং সরকারি পদবির প্রভাব দেখিয়ে জমিটি দখল করে রাখেন।

তিনি শুধু নিজের ক্রয়কৃত জমিতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং সরকারি জায়গা দখল করে ট্রাকযোগে মাটি ফেলে এবং চারপাশে টিনের বেড়া দিয়ে নিজ নামে মালিকানা দাবি করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই জায়গায় আগে একটি ক্লাব ঘর ছিল এবং সরকারি বরাদ্দে ক্লাবটি সংস্কারের প্রক্রিয়া চলছিল।

এ বিষয়ে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি সরকারি জায়গায় মাটি ভরাট বন্ধ করতে বলেন। তবে পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেন ওই নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় জায়গাটি দখলের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী লাল মিয়া সাংবাদিকদের ডেকে আনেন এবং অভিযোগ দাখিল করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পোষ্ট মাস্টার আলম হোসেন বলেন, “আমি ১০ শতক জায়গা কিনেছি এবং ওই ১০ শতকের মধ্যেই বাউন্ডারি দিয়েছি। যদি কোনোভাবে অতিরিক্ত জায়গা দখল হয়ে থাকে, তাহলে আমি তা খালি করে দেব।”

তবে স্থানীয়রা দাবি করছেন, এটি সরকারি সম্পত্তি, যেখানে একটি ক্লাব ঘর ছিল এবং সেটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এলাকাবাসীর জোর দাবি, জায়গাটি দ্রুত পুনরুদ্ধার করে ক্লাবের সংস্কারকাজ শুরু করতে হবে এবং দখলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..