আজ ২০ আগষ্ট, ২০২৫(বুধবার), গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন ও নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস উৎসব-বন্ধন বাসে ৫ টাকা ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে তরিকুল সুজন বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তীতে গত ০৭ নভেম্বর দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত বাসভাড়া প্রত্যাহার করে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আজ এক সভায় সেই সিদ্ধান্ত বদলে ৫ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। যা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক। কারণ গত বছরেই আমরা আমাদের সকল যুক্তি উপস্থাপন ও সরকারি বিধি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৪৫ টাকা ভাড়া দাবি করেছিলাম। যেখানে আমরা ভাড়ার যৌক্তিক হিসেব স্পষ্ট করেছিলাম। ভাড়া নির্ধারনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে দুরুত্ব ও ইউনিট। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের উপস্থিতি দুরুত্ব পরিমাপ করা হয়। সরকার প্রদত্ত স্লট অনুযায়ি সেই ভাড়ার বিভাজনও হয়। যা বাস মালিকরা নাকচ করে। পরবর্তীতে, শহরের সার্বিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের দেয়া প্রস্তাবে আমরা ৫০ টাকা ভাড়ায় সম্মত হই। এই সকল আলোচনা এবং লড়াইকে প্রত্যাখ্যান করে এখন বাস মালিক সমিতি ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানায়। জেলা প্রশাসক তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সভা আহবান করে। সভায় গণসংহতি আন্দোলনসহ, যাত্রী অধিকার সংরক্ষন ফোরাম ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব নাকচ করেন। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানাই আমরা ভাড়া বৃদ্ধির আলোচনার সাথে একমত নই। পাশাপাশি প্রশ্ন রাখি, কেনো ৫২ সিটের বাসকে ৪৫ সিট করা হলো? জনস্বার্থের কথা বলে কেনো বর্ধিত ভাড়ার চাপ জনতার ঘাড়ে পরবে! এই প্রশ্নগুলোর কোনো সদোত্তর সেখানে মেলে নি। বরং মালিকপক্ষের অযৌক্তিক আলাপের সুরে জেলা প্রশাসক ভাড়া ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৫টাকা করবার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই। বাসের ভাড়া ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ টাকা করবার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করি। অনতিবিলম্বে জেলা প্রশাসককে তার সিদ্ধান্ত পূণ:বিবেচনায় এনে বর্ধিত ৫ টাকা ভাড়া প্রত্যাহার করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদি সময়ে বাস মালিকদের মোটা অংকের টাকা ওসমান বলয়ে চাদা দিতে হয়েছে কিন্তু অভুত্থানের মধ্য দিয়ে তা থেকে আমরা পরিত্রাণ পেয়েছে। এমনকি গত এক বছরে জ্বালানী মূল্যও বৃদ্ধি পায়নি। ফলে এমন সময়ে বাস ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক। বাস কত সিটে নিবন্ধন হয়ে কত সিটে চলবে তা সড়ক ও পরিবহনের কাঠামোর উপর নির্ভর করে নির্ধারন হবে। মনে চাইলেই সিট বাড়িয়ে দেয়া বা কমিয়ে ফেলা যায় না যাবেনা। আর মালিকের এই মনমর্জির সিদ্ধান্তের অর্থনৈতিক চাপ যাত্রী বহন করাও কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। মালিকপক্ষের এই মনমর্জি আমরা মানিনা। বাস ভাড়া বাড়ানো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।’
উল্লেখ্য যে, জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আজ ডিসি কার্যালয়ে এক সভা আহবান করা হয়। সেখানে আমাদের দলীয় প্রতিনিধি হিসেবে জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা প্রেরক
রাকিবুল হাসান দিপু
দপ্তর সম্পাদক
গণসংহতি আন্দোলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...