বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলে নারায়ণগঞ্জের ত্রাস মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও ভূমি দস্যু হিসেবে চিহ্নিত কুতুবপুর নয়া মাটি এলাকার আতঙ্ক শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগের ক্যাডার শরিফ হোসেন ওরফে মাদক শরিফকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার ৬ অক্টোবর দুপুরে পাগলা নয়া মাটি এলাকা থেকে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই রফিক ও এস আই সুজন ফকিরের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একাধিক সদস্য অভিযান চালিয়ে শরিফকে গ্রেফতার করে। বৈষ্ণবী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে সাইনবোর্ড এলাকায় গুলি করে হত্যা মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামি শরীফ হোসেন ওরফে মাদক শরিফ।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই রফিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শরিফকে দুপুরে নয়া মাটি এলাকা থেকে এজাহার ভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল সোমবার দুপুর তিনটার মধ্যে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য সন্ত্রাসী শরিফের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মাদক চাঁদাবাজি ভূমি দস্যুতার কার্যকলাপের অভিযোগ মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খোলস পাল্টে বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় এই শরীফ। জানা যায়, নিজেকে বিএনপির নেতা সাজানোর জন্য মোটা অংকের টাকা খরচ করে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ নামে একটি ভূইফোড় সংগঠনের ফতুল্লা থানা কমিটির আহবায়ক পদ কিনে নেয় শরিফ।
এ বিষয়ে প্রতিটা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এমন কোন সংগঠন নেই বলে জানান। সেই সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতিকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা হবে না বলেও জানান।
উল্লেখ্য যে, এই সন্ত্রাসী শরীফ বিগত সরকার আওয়ামী লীগের আমলে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ এ কে এম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর শাহ নিজামের পালিত ক্যাডার বাহিনীর সদস্য ও নারায়ণগঞ্জের ক্যাডারদের জন্মদাতা আজমেরী ওসমান (ভাইজান) গ্রুপের সদস্য। গত ১৭ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত আজমেরী বাহিনীর সাথে সাইনবোর্ড ভুইগর জালকূড়ি এলাকায় বৈষ্ণবী বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে অস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়ায়ও উঠে আসে এই শরিফের নাম ।
দুপুরে শরীফের গ্রেফতারের সংবাদের বন্যা বয়ে যায় এ সময় এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করে তার গ্রেফতারের খবরে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...