সংবাদ শিরোনাম :
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার বিএনপির মনোনয়ন চান ছয়জন, সবদিকে এগিয়ে মাহবুবুর রহমান সরকার বিস্ফোরণ মামলায় মীর্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি ২৪ ঘন্টা না যেতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩ খুলনায় ট্রলার-ফেরি মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ নিখোঁজ ৩ আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! ভারী থেকে অতিভারী বর্ষনের সতর্কতা! আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আচরণ চাই: মাসুদুজ্জামান মাসুদ বন্দরে ২৮ ড্রাম চোরাই পামওয়েলসহ দুইজন গ্রেফতার ফাঁদ পেতে ভূয়া সার্টিফিকেট/আইডি কার্ড তৈরির দোকানে অভিযান, বিপুল সংখ্যক ভুয়া সার্টিফিকেট, আইডি, দলিল উদ্ধার  ফতুল্লায় চোরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, সাংবাদিক সুজনের বাড়িতে দুর্ধষ চুরি 
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

আকিজ ফিড মিলের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধিদের নিরবতায় ক্ষোভ

ফাহমিদা এমি / ১৪৮ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার বাগবাড়িতে আকিজ গ্রুপের ফিড মিলের বিষাক্ত দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের জনজীবন। ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় প্রতিদিন মিল থেকে নির্গত হওয়া দুর্গন্ধের কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

এই অব্যাহত দূষণের প্রতিবাদে শুক্রবার ৪ জুলাই এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সচেতন নাগরিকরা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “এই কিড মিল থেকে প্রতিদিন যে দুর্গন্ধ ছড়ায়, তাতে আমরা আমাদের ঘরের জানালাও খুলতে পারি না। ছোট বাচ্চারা শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, বমি ও ত্বকের নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এটা একটা নীরব গণহত্যার নামান্তর।”

উল্লেখ্য, এলাকাবাসী এর আগেও একবার মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে এক প্রতিবাদী বলেন, “আমরা কারো ব্যবসা বন্ধের বিরুদ্ধে না। কিন্তু যদি সেই ব্যবসা আমাদের সন্তানদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে, তবে চুপ করে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই—এই কিড মিল অবিলম্বে বন্ধ করা হোক অথবা দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কঠোর সমালোচনা করে স্থানীয়রা এসময় বলেন,
“আমরা কি শুধু ভোট দেওয়ার যন্ত্র? ভোটের সময় ঘরে ঘরে এসে হাত ধরেন, আর এখন দুর্গন্ধে জরবন অতিষ্ঠ তখন আপনাদের দেখা মেলে না! জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি মানুষের কষ্টে চুপ করে থাকেন, তাহলে গদি ছেড়ে দিন! জনগণের দুঃখে যাদের চোখে পড়ে না, তার প্রতিনিধি হওয়ার অধিকার নেই। এই এলাকায় শিশু, বৃদ্ধ কেউ ঠিকমতো নিশ্বাস নিতে পারছে না। অথচ যারা আমাদের কণ্ঠস্বর হওয়ার কথা, তারা যেন চোখ কান বন্ধ করে বসে আছেন! চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হবে, আপনারা জনগণের পক্ষে নাকি দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে? আপনারা কি কেবল স্ট্যাটাস আর ছবির রাজনীতি করেন? মাঠে নামেন না, গন্ধে আসেন না, প্রতিবাদে থাকেন না—তাহলে আপনাদের জনপ্রতিনিধিত্বের মানে কী? এই জনগণই একদিন প্রশ্ন করবে, আপনারা চুপ কেনো ছিলেন? গণভবনের স্বপ্নে যারা মশগুল, তারা জনগণের কান্না দেখে না, দুর্গন্ধ শোনে না! যারা জনগণের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায়ও নিরব থাকে, তাদের মুখে উন্নয়নের বুলি মানায় না! আপনারা আমাদের নেতা না, যারা জনগণের অসুবিধা দেখেও চুপ থাকেন, তারা কেবল নিজের সুবিধার হিসাব রাখেন। সময় থাকতে সোজা পথে আসুন, না হলে জনগণই সঠিক জবাব দেবে ব্যালট বাক্সে!মআপনারা এত নিশ্চুপ থাকেন কেন? এই গন্ধে যেখানে বাস করা যায় না, সেখানে আপনারা নাকে রুমাল গুঁজে কোথায় আছেন? নাকি ব্যবসায়ী দখলদারদের পক্ষে সই দিয়ে জনগণের পিঠে ছুরি চালাচ্ছেন?”

স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও বন্দর থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..