জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আনিসুল ইসলাম সানি বলেছেন, জেলা প্রশাসককে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছিলাম সারাদেশে শেখ মুজিবের মূর্তি অনেক জায়গায় অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু ডিসি অফিসে মূর্তি অপসারণ করে নাই, পরে শহীদ জিয়ার সৈনিকরা সেই মূর্তি ভেঙ্গে চূড়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। এখনো রাসেল পার্কে কয়েকটি মূর্তি রয়েছে, বাপ্পি চত্বরে কয়েকটি মূর্তি রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে কোন শেখ মুজিবের মূর্তি থাকতে দেয়া হবে না। তবে খেয়াল রাখবেন শেখ মুজিবের সাথে আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও দার্শনিকদের মূতি-নাম আছে, সেখানে সম্মান বজায় রাখবেন। শুধু শেখ মুজিব গুষ্টি থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, এখানে (২নং গেট, ডায়মন্ড হলের সাথে) আমাদের জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যলয় ছিলো। সেই অফিসটি আমরা ৭ বার বিএনপি’র নামে টেন্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু হাসিনা ছিলো স্বৈরাচার তার অন্যতম দোসর ছিলো মেয়র আইভী, সে এই অফিসটি দখল করে নিয়েছিলো তার একনায়কতন্ত্র খাটিয়ে। আমি বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বলবো, এই বিল্ডিংয়ে যদি কোন জায়গা খালি থাকে তাহলে আপনারা এখানে জেলা ও মহানগর বিএনপি’র সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল করেন, আমি আপনাদের সাথে থাকবো। যদি না হয়, তাহলে ২নং গেট যে আওয়ামী লীগ অফিস আসে সেটাকে আমরা বিএনপি কার্যালয় বানাবো।
আজ রবিবার নগরীর ডিআইটি চত্ত্বরে শহীদ রবিউল স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে, ৯০এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ ২নং রেলগেটে পহেলা ডিসেম্বর, পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ রবিউলের ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম সানি বলেন, ডায়মন্ড হলের চত্বর বা ২নং গেট চত্বর যে যাই বলেন। আজ থেকে এটা শহীদ রবিউল চত্বর হিসেবে পরিচিত হবে। শহীদ রবিউল স্মৃতি সংসদের ভাইদের বলবো, আপনারা সবাই যত দ্রুত সম্ভব হয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে এই ২নং রেলগেট এলাকাটি শহীদ রবিউল চত্বর করার জন্য আবেদন করবেন। আমরা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করবো। পাশাপাশি শহীদ রবিউলের পরিবারকে আমরা জায়গা বরাদ্ধ করে দিয়েছিলাম, কিন্তু এখনো তার পরিবার সেটা পায়নি। আগামীতে যদি তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়, তাহলে শহীদ রবিউলের পরিবারের জন্য বিএনপি সকল ব্যবস্থা করবে, আজকে আমি এই সভা থেকে কথা দিয়ে গেলাম।
তিনি আরও বলেন, এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আছে। এখনো বিএনপি ক্ষমতায় আসেনি। শহীদ রবিউল বিএনপির পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে। আমি মনে করি শহীদ রবিউলের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো বিএনপি নেতাদের জন্য ফরজ। আলী আহমদ চুনকা পাঠাগার থেকে আমরা বিভিন্ন আন্দোলন করেছি। আজকে দেখেন তথাকথিত মেয়র এটাকে গোডাউন করে রেখেছে। তার একঘেয়ামোর কারণে এমন হয়েছে। বাংলাদেশে কোথাও ফুটপাতের মধ্যে এমন করে রাস্তা করা হয়নি। এটা মেয়রের স্বেচ্ছাচারিতায় করা হয়েছে। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে এই গোডাউন (চুনকা পাঠাগার) ভেঙ্গে আমরা ‘যুগোপযোগী অডিটরিয়াম এখানে গড়বো, কথা দিলাম এই সভা থেকে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...