সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিকদের প্রতি তাচ্ছিল্য: নেতা হওয়ার উন্মাদনায় অচিরেই অব্যাহত অবনতি অনিবার্য হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে:  মাওলানা ফেরদাউসুর  ফতুল্লায় চুন্নুর ভাতিজাদের তাণ্ডব, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা! ফতুল্লায় আজমেরী সমর্থকদের ঝটিকা মিছিল’ বিএনপির ধাওয়া বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী ভোক্তা সচেতনতার নবযাত্রা শুরু করলো সিসিএস নারায়ণগঞ্জ বদলগাছীতে দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা দিবস উদযাপন জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একজন নিহত চড়-থাপ্পড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর পায়েল খুন, গ্রেফতার-৪ নাসিকের আহ্বান কোরবানির পশুর হাটের১৭টি স্থান
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন

প্রয়াত ভাষাসৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ কে এম শামসুজ্জোহার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৯০ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

প্রয়াত ভাষাসৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ কে এম শামসুজ্জোহার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রয়াত ভাষাসৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত (মরণোত্তর) এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ কে এম শামসুজ্জোহার আজ ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।

প্রয়াত এই জননেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও চাষাঢ়ায় পারিবারিক বাসভবন হীরা মহলে পবিত্র কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে মিলাদ ও দোয়ায় অংশগ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, সব সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

প্রয়াত শামসুজ্জোহা একাধারে গণপরিষদ সদস্য ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা মরহুম খান সাহেব ওসমান আলীও ছিলেন একজন ভাষাসৈনিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সাবেক এমএলএ। ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের আদি নিবাস নারায়ণগঞ্জের ‘বায়তুল আমান ভবন’ আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করা হয়েছিল। বাংলার মুক্তিসংগ্রাম তথা স্বাধীনতাযুদ্ধের সনদ ‘৬ দফা আন্দোলন’-এর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সঙ্গে প্রয়াত শামসুজ্জোহার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

১৯৬৬ সালের ৮ মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারায়ণগঞ্জ বালুর মাঠে বিশাল জনসভায় ৬ দফার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই জনসভার সভাপতিত্ব করেছিলেন প্রয়াত এ কে এম শামসুজ্জোহা। সেদিন ৬ দফার প্রতীক হিসেবে ছয়টি কবুতর উড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পাঁচটি মশাল জ্বেলে মুক্তিসংগ্রামের শপথ নেন নেতাকর্মীরা। ওই রাতেই বঙ্গবন্ধুকে তাঁর বাড়ি থেকে প্রেপ্তার করা হয়েছিল।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রয়াত শামসুজ্জোহা সর্বপ্রথম হাইকোর্টে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে বিজয়ের বার্তা প্রচার করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। ওই দিন বিকেলে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা, বঙ্গবন্ধুকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক বঙ্গবন্ধু পরিবারকে মুক্ত করতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনা কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ১৯৮৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রয়াত জননেতা শামসুজ্জোহাকে ২০১২ সালে স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..