গত বছর ডিসেম্বর মাসে মনির সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী আসিফ হোসেনের। এর পর কথা বার্তা এক পর্যায় দেখা সাক্ষাৎ হয় তাদের সাথে। মনি তার মতো করে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন আসিফকে। আসিফও এক পর্যায় মনির প্রেমে পড়ে যায়। পরে যখন তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে ঠিক তখনই ধীরে,ধীরে বের হতে থাকে মনির সকল কুকর্মের খবর।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ করেই বেশ কিছুদিনের জন্য গায়েব হয়ে যায় মনি। পরে তার পরিবার খোঁজাখোজি করে না পেয়ে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ ও করেছিলো। তবে পরে খোঁজ নিয়ে জানাযায়,মনি তার অন্য এক প্রমিকের সাথে ১০ দিন কক্সবাজার ছিলো। এ ছাড়াও এমন ঘটনা এর আগে মনি ঘটিয়েছে বলে জানতে পারে আসিফ। তখন সে নিজে থেকে মনির কাছ থেকে সরে যেতে থাকে।
ভুক্তভোগী আসিফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি যখন মনির কাছ থেকে দূরে সরে যেতে চেয়েছি তখনই সে আমাকে নানা ভাবে ব্লাকমেইল করে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এক পর্যায় আমি বিয়েতে রাজি না হলে সে ভূয়া একটি কাবিন নামা তৈরি করে আমাকে তার স্বামী দাবি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে। এক পর্যায় আমি তার করা মামলা থেকে আগাম জামিন নিয়ে আমি তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করি। তখন কোর্ট আমার করার মামলার তদন্ত দেয় সিআইডিকে। সিআইডি রিপোর্ট অনুযায়ী মনি দোষী প্রমাণিত হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
তবে সে গ্রেফতার হয়েও ক্ষেন্ত হয়নি। তার পরিবারের লোকজনসহ কিছু বিশেষ পেশার মানুষদের দিয়ে প্রতিনিয়ত নানা ভাবে হুমকি ঢামকি দিয়ে যাচ্ছে আমাকে। যদি আমি তাদের টাকা পয়সা না দেই মনির এই মামলা তুলে না নেই তাহলে আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার করবে তারা। তাই আমি নারায়ণগঞ্জের মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমি এর প্রতিকার চাই এবং আমাকের এইভাবে হয়রানি করার সুষ্ঠ বিচার চাই।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...