সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিকদের প্রতি তাচ্ছিল্য: নেতা হওয়ার উন্মাদনায় অচিরেই অব্যাহত অবনতি অনিবার্য হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে:  মাওলানা ফেরদাউসুর  ফতুল্লায় চুন্নুর ভাতিজাদের তাণ্ডব, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা! ফতুল্লায় আজমেরী সমর্থকদের ঝটিকা মিছিল’ বিএনপির ধাওয়া বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী ভোক্তা সচেতনতার নবযাত্রা শুরু করলো সিসিএস নারায়ণগঞ্জ বদলগাছীতে দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা দিবস উদযাপন জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একজন নিহত চড়-থাপ্পড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর পায়েল খুন, গ্রেফতার-৪ নাসিকের আহ্বান কোরবানির পশুর হাটের১৭টি স্থান
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

ফতুল্লায় চুন্নুর ভাতিজাদের তাণ্ডব, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা!

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ২৩ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

পুলিশের “গ্রেপ্তার” আর আদালতের “জেল” শুধু কাগজে-কলমে! বাস্তবে থামেনি সন্ত্রাসের মচ্ছব।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ৯ নং ওয়ার্ডের পূর্ব লামাপাড়া ও নয়া মাটি এলাকায় সন্ত্রাসী চক্রের ত্রাসের রাজত্ব চলছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী মোফাজ্জল হোসেন চুন্নুর গ্রেপ্তারের পরও তার ভাতিজা ও সহযোগীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এক হাজী সাহেবের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সন্ত্রাসীরা আইনের ফাঁক গলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তালেব হোসেন পুইক্কার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর পর, তার ছেলে মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু নতুন একটি সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তোলে। চুন্নু এখন কারাগারে থাকলেও তার দুই ভাতিজা জিহাদ (নুর আলম) ও জিসান (গোলাম রহমান) এবং খালাতো ভাই সালেম আহমদ, বাবু ও হাসমত আলী মিলে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে এই চক্রের সদস্যরা এক যুবকের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা পিস্তল দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয়। আরেক কলেজছাত্রকে মাদক ব্যবসার মিথ্যা অভিযোগ এনে ৮ হাজার টাকা জোর করে আদায় করে। এলাকাবাসীর দাবি, এই সন্ত্রাসীরা হাজী সাহেবের আশ্রয়ে থেকে নির্বিঘ্নে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজী সাহেব অবৈধ গ্যাস লাইনের ব্যবসা করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। তার রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। চুন্নু বাহিনীর সদস্যরা তার ছত্রছায়ায় থেকে আইনের হাত এড়িয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, “এরা প্রকাশ্যে টাকা আদায় করে, বাড়িতে হামলা করে। আমরা পুলিশে জানালে হাজী সাহেবের লোকজন মামলা মিটিয়ে দেয়। প্রশাসনকে অনুরোধ, আমাদের রক্ষা করুন।”

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কুমার মজুমদার বলেন, “বিষয়টি তদন্ত চলছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে স্থানীয়রা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এলাকাবাসী দাবি করেছেন, যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপে এই সন্ত্রাসী চক্রকে উৎখাত করা হোক এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..