ঢাকার ভয়াবহ যানজট নিরসন এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে নির্মিত হচ্ছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়ের আদলে বিশাল একটি গোল চত্তর। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যানবাহনগুলো আর রাজধানীতে প্রবেশ না করেই সরাসরি উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের পূর্বাঞ্চলে চলাচল করতে পারবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই গোলচত্তর নির্মাণ করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ফতুল্লা স্টেডিয়ামের পাশ থেকে শুরু হয়ে জালকুড়ি স্ট্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের রুট
হেমায়েতপুর, কেরানীগঞ্জ, পোস্তগোলা, পাগলা, ফতুল্লা, শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে, সোনারগাঁ লাঙ্গলবন্দ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংযোগ
যুক্ত হবে চারটি জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট
সরতে হবে যে ৭টি সরকারি দপ্তর
প্রকল্প বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জের অন্তত ৭টি সরকারি প্রতিষ্ঠান সরাতে হবে, পাশাপাশি আরও ২টি দপ্তরের জমি হস্তান্তর হতে পারে। এতে সরকারের শত শত কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)
নারায়ণগঞ্জ আবহাওয়া অফিস
শিবু মার্কেট ফায়ার সার্ভিস
নির্মাণাধীন নারায়ণগঞ্জ মডেল স্কুল
নির্মাণাধীন নারায়ণগঞ্জ কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ
নির্মাণাধীন আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার
জমি হস্তান্তর হতে পারে প্রস্তাবিত পিবিআই অফিস
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি
২০১৭ সালে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু হয়। শুরুতে জিটুজি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ায় বর্তমানে এটি পিপিপি (Public-Private Partnership) ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানির (IIFC) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
নতুন সংযোজন প্রকল্পের আওতায় শীতলক্ষ্যা নদীর উপর একটি ক্যাবল স্টেট ব্রিজ নির্মিত হবে, যেখানে নদীর ভেতরে কোনো স্তম্ভ থাকবে না। এতে নদীপথের নৌ-যান চলাচলেও কোনো বাধা তৈরি হবে না।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...