সংবাদ শিরোনাম :
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার বিএনপির মনোনয়ন চান ছয়জন, সবদিকে এগিয়ে মাহবুবুর রহমান সরকার বিস্ফোরণ মামলায় মীর্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি ২৪ ঘন্টা না যেতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩ খুলনায় ট্রলার-ফেরি মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ নিখোঁজ ৩ আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! ভারী থেকে অতিভারী বর্ষনের সতর্কতা! আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আচরণ চাই: মাসুদুজ্জামান মাসুদ বন্দরে ২৮ ড্রাম চোরাই পামওয়েলসহ দুইজন গ্রেফতার ফাঁদ পেতে ভূয়া সার্টিফিকেট/আইডি কার্ড তৈরির দোকানে অভিযান, বিপুল সংখ্যক ভুয়া সার্টিফিকেট, আইডি, দলিল উদ্ধার  ফতুল্লায় চোরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, সাংবাদিক সুজনের বাড়িতে দুর্ধষ চুরি 
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

ফ্যাসিবাদীবাদীদের প্রতিহত করতে না পারলে হাতে চুড়ি পরে থাকেন, চুড়ি কেনার টাকা না থাকলে বলেন, আমি কিনে দেবো, : সীমান্ত প্রধান

ফাহমিদা এমি / ২৫৪ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
oplus_0

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন সাধারণ মানুষ আতঙ্ক আর নিরবতায় দিন কাটাচ্ছে, তখন সাহসী ও প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে উদয় হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজ সচেতন নেতা সীমান্ত প্রধান। বৃহস্পতিবার এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে তিনি যে বক্তব্য রাখেন, তা মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

তার বক্তব্যের শুরুতেই ছিল প্রচণ্ড ব্যঙ্গ, ক্ষোভ এবং বাস্তবতা তুলে ধরার সাহসী প্রয়াস। তিনি বলেন,
“আপনারা হাতে চুড়ি পরে থাকেন, চুড়ি কেনার টাকা মা থাকলে বলেন, আমি কিনে দেবো। আজমেরী ওসমানের চিহ্নিত দুর্ধর্ষ ক্যাডার পাগলা হামিদ কিভাবে এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়? কিভাবে পঞ্চবটী গুলশান রোডে শোডাউন নিয়ে যায়?”

তিনি আরও বলেন, “তারা এখনও কিভাবে বুক ফুলিয়ে বলে আজমেরী ওসমান বীরের বেশে ফিরে আসবে? কীভাবে অয়ন ওসমানের পক্ষে পোস্টার টাঙায়? যাদের হাতে এখনও ছাত্র-জনতার রক্ত লেগে আছে, তারা এত সাহস পায় কীভাবে?

সীমান্ত প্রধান তার বক্তব্যে সরাসরি প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“তাদের যেখানে দেখবেন, সেখানে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে পুলিশের হাতে তুলে দিন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এখনই না দাঁড়ালে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।”

তিনি বলেন, “আমরা যারা অন্যায় দেখেও চুপ থাকি, তারাও অপরাধীদের সহযোগী হয়ে পড়ি। সময় এসেছে, ভয় ভেঙে প্রতিবাদে মুখর হওয়ার।”

সীমান্ত প্রধান তার বক্তব্যে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলামকে সরাসরি উদ্দেশ্য করে বলেন,
“জুলাই আন্দোলনে যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে, সেই হত্যা মামলার আসামিরা এখনও কেনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়? তারা কি আইনের ঊর্ধ্বে? প্রশাসনের নীরবতা কি প্রমাণ করে না যে, তারা দোষীদের রক্ষা করছে?”

এনায়েতনগরের সভায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন এবং সীমান্ত প্রধানের বক্তব্যে গভীর অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে জানান। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সভাস্থল। অনেকে বলেন, “এই সাহসী কণ্ঠই আমাদের ঘুমন্ত চেতনায় আবার আগুন জ্বালিয়েছে।”

সীমান্ত প্রধান বলেন,
“রাজনীতি দুর্বৃত্তদের হাতে ছেড়ে দিলে সমাজ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। এখনই সময়, রাজপথে নামার। অন্যায়কে অন্যায় বলার। যারা গুলি চালিয়েছে, যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে, তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ে চলার দিন শেষ করতে হবে।”

এই বক্তব্য শুধু একজন সাংবাদিকের আওয়াজ নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে একটি প্রতিরোধ আন্দোলনের সূচনা বার্তা।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..