সংবাদ শিরোনাম :
বগুড়ার শেরপুরে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র নিখোঁজ! থানায় অভিযোগ বগুড়ার শেরপুরে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অপরাধ দমনে কঠোর প্রশাসন ধর্ষণ মামলার স্বাক্ষীর বসতবাড়িতে হামলা, মারপিট, ভাংচুর, টাকা স্বর্ণালংকার লুট                    ফুলবাড়ীতে যানজট নিরসনে কাজ করছে ছাত্রদল রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী মামুন ভুঁইয়া হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অবরোধ জগন্নাথপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১৫ জন আহত  জগন্নাথপুরে পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী সহ গ্রেপ্তার ২ মহেশপুর কল্যাণ ট্রাস্টের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সুনামগঞ্জ-১ আসনের মাহবুবুর রহমানে’র ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা রূপগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১, আহত ১
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

বগুড়ার শেরপুরে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অপরাধ দমনে কঠোর প্রশাসন

মিন্টু ইসলাম বগুড়া প্রতিনিধি: / ২৪ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত দিন দিন উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীরা কিশোর গ্যাং এর দস্যুতা ও ভয়ভীতির শিকার হচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গত সোমবার কিশোর গ্যাংয়ের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন কিশোর আহত হয়েছে। ওইদিন রাত ৮টার দিকে শেরপুর শহরের শহীদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের অধিকাংশই অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তারা নিজেরা ‘গ্রুপ’ বা ‘টিম’ বানিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চলে। তাদের সঙ্গে প্রভাবশালী কিছু পরিবারের ছেলেরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা ব্রিজের উপর মোটরসাইকেল রেখে আড্ডা দিতে দেখা যায় কয়েকজন বখাটে ছেলেকে। অতঃপর একজন পথচারী রাস্তা ছেড়ে দাঁড়ানোর কথা বলতেই ওই পথচারীর উপর আক্রমণ করে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। পরবর্তীতে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে।
শেরপুর থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, “কিশোর গাং এর বিভিন্ন স্থানের খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করি। ঘটনায় একটা অংশের অভিযোগ পেয়েছি। আহতদের হাসপাতালে তদন্তের উদ্যেশে দেখে এসেছি। শেরপুর ধুনট মোড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। গ্যাং সদস্যরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, ইভটিজিং এমনকি মাদক সেবনের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে।
সূত্রাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “শুধু আইন দিয়ে নয়, পরিবার ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও নজরদারি জরুরি। এসব কিশোরদের কাউন্সেলিং, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং সংস্কারমূলক কার্যক্রমে যুক্ত করতে হবে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..