“বাংলাদেশ জুলাই যোদ্ধা সংসদ নিয়মিতভাবেই তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজকের সপ্তম সভায় আগামী ৫ আগস্ট ‘গণ অভ্যুত্থান দিবস’কে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। এটি শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং গণতন্ত্রের পক্ষে একটি সংগঠিত প্রয়াস।
৫ আগস্ট ‘গণ অভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা আজকের মূল আলোচ্য বিষয়। বাংলাদেশ জুলাই যোদ্ধা সংসদের ৭ম কেন্দ্রীয় সভা আজ বুধবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার হাজীগঞ্জ জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ সংলগ্ন হাজীগঞ্জ মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আসন্ন ৫ আগস্ট “গণ অভ্যুত্থান দিবস” উদযাপন উপলক্ষে বিস্তারিত প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা ও আলোচনা করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আবু হাসান টিপু এবং সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন সদস্য সচিব এন আর বি মামুন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক আমজাদ হোসেন শামীম, যুগ্ম আহবায়ক আলী নেওয়াজ তালুকদার টরী, সদস্য নাজমুল হাসান রুমী, কাজী মাসুদ, আব্দুর রহিম, মোঃ রনি, ফাহমিদা খন্দকার এমিসহ সংগঠনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও কর্মীরা।
আলোচনায় নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারিখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশ স্বৈরশাসন মুক্ত হয়। সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে গণতন্ত্রের চেতনা ছড়িয়ে দিতে সংগঠনটি ৫ আগস্টকে “গণ অভ্যুত্থান দিবস” হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেয়।
সভায় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে স্মরণ সভা, র্যালি, আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।
সভায় বক্তারা বলেন, “এই দিনটি শুধু একটি সরকারের পতনের দিন নয়, এটি এদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের এক বীরত্বগাথা।
সভা শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে সকল সদস্যদের আগামী ৫ আগস্ট সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...