বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কিল্লারপুলস্থ ড্রেজার পরিদপ্তরে আউটসোসিং প্রক্রিয়ায় শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া নামে জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপি যুবদলের নেতা মনিরুল ইসলাম সজল, মোঃ শাহেদ সহ বিএনপির সাবেক সিবিএ নেতা সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবীর ও সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুন ভূইয়ার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার নিয়াগ বাণিজ্যের চরম অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জানান, ২০২০ সালে পহেলা অক্টোবর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় উপসচিব মোঃ আলমগীর হোসেন আউটসোসিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগযোগ্য ৭৫ জনের নামের তালিকাসহ ৭৫টি শূন্য পদে অন্তবতীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে দৈনিক মজুরীভিওিতে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের প্রস্তাবটি অনুমোদন প্রদান করেন। পরবতীতে ৩৯/৪০ জনকে তাৎক্ষনিকভাবে আউটসোসিং হিসেবে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন ঐ ৭৫ জনের তালিকা থেকে। বাকী শ্রমিকরা ২০/২৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে সাভিস দিলে ও তাদেরকে নিয়োগ না দিয়ে ওয়েটিংয়ে রাখা হয়। বর্তমানে কিছু শূন্যপদে আউটসোসিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সাবেক বিএনপির সিবিএ সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুন ভুইয়া সহ উল্লেখিত বিএনপির নেতৃবৃন্দরা বিএনপির কর্মী হিসেবে আখ্যায়িত করে বহিরাগত লোক কাউছার, আরিফ, লুৎফর, ওবায়দু ও মোঃ ইসমাইলকে কাছ থেকে নিয়োগ দেয়া নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মোঃ ইসমাইল আওয়ামীগ নেতা ও সাবেক সিনিয়র সহ – সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে। ইসমাইল আওয়ামীলীগের একজন কর্মী। ইসমাইল এর চাকুরী শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য সাবেক বিএনপির সিবিএ নেতা সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবীর ও সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুন ভুইয়াকে হুমকী প্রদান করে নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব । এ ব্যাপারে মোঃ হুমায়ুনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে হুমকীর কথাটি স্বীকার করে। অপরদিকে কাউছার হচ্ছে নারায়নগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়া হোন্ডারবাহিনীর মূলহোতা আজমেরী ওসমানের সহযোগী। এমনি আজমেরী ওসমানের মা পারভীন ওসমানের সাথে ছিল কাউছারের ভাল সখ্যতা। অথচ অফিস নিয়মানুযায়ী আউটসোসিং প্রক্রিয়ায় চাকুরী পাওয়ার যোগ্য হচ্ছে পানি মন্ত্রনালয়ের ৭৫ জনের নামের তালিকা থেকে। অফিসের প্রকৃত নিয়ম ভঙ্গ করে অনিয়ম আর দূনীতি নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে বহিরাগত লোকদেরকে নিয়োগ দেয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছে কতিপয় বিএনপি নেতা সহ সাবেক ২ সিবি নেতা হুমায়ুন ও মামুন ভুইয়া। এছাড়া কাউছার, আরিফ, লুৎফর, ইসমাইল ও ওবায়দুলের চাকুরী শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোডের কিল্লারপুল পরিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার কাছে তদবীর করছেন উল্লেখিত বিএনপির নেতৃবৃন্দ এমনটাই অভিযোগ রয়েছে। আউটসোসিং প্রক্রিয়ায় শূন্যপদে নিয়োগ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী ( যন্ত্র) মোঃ হোছাইনুদ্দিন ছিদ্দীকী বলেন, চাকুরী থেকে কেউ স্ব -ইচ্ছায় চলে যাওয়া এবং অনেকে মৃতুৎবরন করার কারনে ঐ সকল শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া হবে। তবে নিয়োগ না দিতেই বাপ দাদায় কবে চাকুরী করে গেছে সে প্রভাব খাটিয়ে নীচে চেয়ার টেবিল বসিয়ে বসে আছে। তবে নিয়োগ দেয়ার বিষয় আউটসোসিং প্রক্রিয়াধীন হবে। বহিরাগত লোকদেরকে নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েকজন কিছু নির্দিষ্ট নামে প্রস্তাব করেছে নিয়োগের বিষয়। আমরা অফিসের নিয়মের বাহিরে যাবো না এবং যাচাই – বাছাই করেই শূন্যপদগুলো পূরণ করা হবে। অপরদিকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মামুনুজ্জামান এই বিষয়ে বলেন, অফিসের নিয়মের বাহিরে কিছু হবে না। নিয়মতান্ত্রিক মাধ্যমেই নিয়োগ দেয়া হবে। তবে তালিকায় থাকা ভুক্তভোগী শ্রমিকদের প্রানের দাবী ৭৫ জনের নামের তালিকা থেকে যেন নিয়োগ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...