ফাহমিদা এমি (সম্পাদক, স্বপ্ন বাংলা নিউজ ২৪) : মশিউর রহমান রনি, এই নামের উপর যেখানে ৭ গ্লাস পানি খেতো বিগত স্বৈরশাসন আমলের নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান ও তার অনেক অনুসারী সেখানে রনিকে নিয়েই ঘৃণ্যতম নোংরা খেলায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে মশিউর রহমান রনির অর্জন ও ভূমিকা ও শীর্ষ জনপ্রিয়তাকে ভুলন্ঠিত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
বিগত কিছুদিন যাবত নারায়ণগঞ্জের একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা দুর্নীতির বরপুত্র নামক অপবাদ দিয়ে লিড নিউজ করে এই মশিউর রহমান রনির বিরুদ্ধে। অথচ সে সকল অপবাদের শক্ত কোন এভিডেন্স বা প্রমাণ কিছুই নেই। শুধুমাত্র শোনা কথা পুরনো দিনের বিভিন্ন স্থানের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে নামিয়ে সেটাকে পুজি করেই লেখা হচ্ছে এসব নিউজ। মূলত রনির ইমেজকে নষ্ট করাই এই সকল কিছুর মূল লক্ষ্য।
সম্প্রতি পত্রিকায় ছাত্রলীগের রিয়াদ, রাসেলের সাথে মশিউর রহমান রনির যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় অথচ বিগত আওয়ামী শাসনামলে এই রিয়াদ ও রাফেল বাহিনী তাদের গডফাদার শামীম ওসমানের অনুকম্পা পেতে ও আস্থাভাজন হতে একাধিকবার রনি ও তার পরিবারের উপর চালায় তাদের অমানুষিক নির্যাতন ও নিপীড়ন যা এখনো মানষপটে স্পষ্ট জাজ্বল্যমান ।
নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক অকুতোভয় সৈনিকের নাম মশিউর রহমান রনি । ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই তরুণ নেতা বারবার তার কর্ম দ্বারা নিজেকে প্রমাণিত করে জনগণের হৃদয় স্থান করে নিয়েছেন। স্থান করে নিয়েছেন দলীয় শীর্ষ নেতাদেরও আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে কারা ভোগ করতে হয়েছে তাকে মাসের পর মাস বছরের পর বছর। নারায়ণগঞ্জ বা ঢাকা যেখানেই দলীয় কর্মসূচির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সবার আগে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন রনি। এই এক রনির আতঙ্কে দিশেহারা থাকতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের অনেক বাঘাবাঘা নেতা। এই রং এর আতঙ্কে তাকে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার নীল নকশায় ২০১৮ সালে গুম করে ফেলা হয় তাকে। ক্রসফায়ার মিশন থাকলেও শেষ পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধার নাটকের মধ্য দিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়সেসময়। কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে এবং কারা অভ্যন্তরে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন মশিউর রহমান রনি। এই নির্যাতন ও নিপীড়ন তাকে সংগ্রাম থেকে এক চুলও নাড়াতে পারেনি। নীতি ও আদর্শ থেকে তাকে বিচ্যুত করতে পারে নাই তাই শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন রনি।
বলা হয়ে থাকে রনি অংশগ্রহণ না করলে কোন সমাবেশই পরিপূর্ণতা পেত না। তার চোখ ধাঁধানো শোডাউন বরাবরই ঈর্শ্বার কারণ ছিল একটি মহলের। ২০২৩ এর ২৮ ডিসেম্বর ও তার পূর্বের ঘটনা পর্যালোচনা করলে সেটার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। জুলাই বিপ্লবে রনির ভূমিকাও ছিল অনস্বীকার্য। রনি ও তার বাহিনী সদা তৎপর থেকে ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান ও শক্তিশালী হতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। রনির সাহসে উজ্জীবিত হয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজপথে। অর্জিত হয় কাঙ্খিত সাফল্য পতন হয় স্বৈরশাসনের।
রনির মতো একজন যোগ্য ও বলিষ্ঠ সংগঠক ও কর্মীবান্ধব নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের নোংরা ষড়যন্ত্র দলের জন্য ক্ষতিকর তাই এ সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ হোক এটাই এখন দাবি সকলের।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...