সংবাদ শিরোনাম :
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার বিএনপির মনোনয়ন চান ছয়জন, সবদিকে এগিয়ে মাহবুবুর রহমান সরকার বিস্ফোরণ মামলায় মীর্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি ২৪ ঘন্টা না যেতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩ খুলনায় ট্রলার-ফেরি মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ নিখোঁজ ৩ আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! ভারী থেকে অতিভারী বর্ষনের সতর্কতা! আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আচরণ চাই: মাসুদুজ্জামান মাসুদ বন্দরে ২৮ ড্রাম চোরাই পামওয়েলসহ দুইজন গ্রেফতার ফাঁদ পেতে ভূয়া সার্টিফিকেট/আইডি কার্ড তৈরির দোকানে অভিযান, বিপুল সংখ্যক ভুয়া সার্টিফিকেট, আইডি, দলিল উদ্ধার  ফতুল্লায় চোরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, সাংবাদিক সুজনের বাড়িতে দুর্ধষ চুরি 
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

বিশাল মদের চালানসহ টোল প্লাজা থেকে গাড়ি জব্দ, আটক ২

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ১৪৮ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

ঢাকা থেকে দেশী ও বিদেশী মদের চালান নিয়ে খুলনায় এসে গ্রেপ্তার হলেন দু’জন। এসময় জব্দ করা হয় একটি প্রাইভেট কার। বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে খুলনার রূপসা সেতুর টোল প্লাজায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম ওই মদের চালান উদ্ধার করে।

এসময় গেপ্তার করা হয়, মোঃ আব্দুর রহিম শরীফ (৫৩) এবং গাড়িচালক মোঃ ওহাব শিকদারকে (৬০) । উদ্ধারকৃত মদের মধ্যে রয়েছে ৩৪ পিস বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এবং ৪৬ পিস দেশীয় কেরু এন্ড কোম্পানীর মদ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা থেকে দেশী-বিদেশী মোট ৮০ পিস মদের ইনটেক্ট বোতল নিয়ে খুলনায় আসছিল। এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ সার্কেলের একটি টিম রূপসা সেতুর টোল প্লাজা থেকে তা’ আটক করে। তবে উদ্ধারকৃত মদের মূল্য প্রাথমিকভাবে নিরূপন করা যায়নি।

আটকদ্বয় জানান, ঢাকার একটি মাদক ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছ থেকে মাঝে মধ্যে ভাড়া করা প্রাইভেটকারযোগে খুলনায় এসে মদের চালান খুলনার ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করে চলে যায়। এর আগেও তারা একাধিকবার খুলনায় আসে। প্রথমে তারা সেগুলো নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসে। সেখানে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গাড়ির নম্বর পেয়ে খুলনার মাদক ব্যবসায়ীরা বিশেষ সিগনালের মাধ্যমে অন্য গাড়িতে মদগুলো তুলে নিয়ে যায়। তবে খুলনার কারা এরসাথে জড়িত তাদের কারও নাম বলতে পারেননি গ্রেপ্তারকৃতরা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে আটক হওয়ার পর একাধিকবার আব্দুর রহিম শরীফের মোবাইলে জামাল নামের একজন হোয়াটসএ্যাপে কল দেয়। কিন্তু আব্দুর রহিম জামাল নামে কাউকে চেনেন না বলে জানান।

প্রাইভেট চালক মোঃ ওহাব শিকদার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের কাছে জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবের গাড়ির ড্রাইভার। ওই সচিবের নাম রাশেদ খান। যার বাড়ি মানিকগঞ্জে এবং সেখানে রাশেদ খান নামে একটি কলেজও রয়েছে। তবে গাড়িটি রাশেদ খানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের নামে। যার নম্বর-ঢাকা মেট্রো-গ-৩১-৫৯৫৬। রাবেয়া খাতুন একজন স্কুল শিক্ষক বলেও জানান চালক।

গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহিম শরীফ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ এলাকার স্থায়ী এবং বর্তমানে ঢাকার কামরাঙ্গিচর চৌরাস্তার হযরত নগর এলাকার বাসিন্দা এবং প্রাইভেটকার চালক মোঃ ওহাব শিকদার ফরিদপুরের নগরকান্দার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার লালবাগের আমরেগোলা এলাকায় বসবাস করেন।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..