সংবাদ শিরোনাম :
বিস্ফোরণ মামলায় মীর্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি ২৪ ঘন্টা না যেতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩ খুলনায় ট্রলার-ফেরি মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ নিখোঁজ ৩ আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! ভারী থেকে অতিভারী বর্ষনের সতর্কতা! আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আচরণ চাই: মাসুদুজ্জামান মাসুদ বন্দরে ২৮ ড্রাম চোরাই পামওয়েলসহ দুইজন গ্রেফতার ফাঁদ পেতে ভূয়া সার্টিফিকেট/আইডি কার্ড তৈরির দোকানে অভিযান, বিপুল সংখ্যক ভুয়া সার্টিফিকেট, আইডি, দলিল উদ্ধার  ফতুল্লায় চোরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, সাংবাদিক সুজনের বাড়িতে দুর্ধষ চুরি  যৌথবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ যুবক গ্রেপ্তার  ৮ কেজি গাঁজাসহ দুই যুবক আটক 
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ন

ভোলাগঞ্জে দুই মাসের লুট শেষে বিরান ভূমি—প্রশাসনের সাজানো অভিযানের পর্দা ফাঁস

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ১০৬ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

সিলেটের ভোলাগঞ্জ—যেখানে এক সময় পাহাড়ি নদীর নীল জলে ঝলমল করত সাদা পাথরের অপরূপ রাজ্য। দুই মাস আগে শুরু হয়েছিল অদেখা লুটের মহোৎসব। টানা সপ্তাহের পর সপ্তাহ, রাতের আঁধারে শত শত ট্রাক পাথরে ভরে চলে গেছে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক দিয়ে। কেউ বাধা দেয়নি, কেউ প্রশ্ন করেনি। প্রশাসন থেকেছে নীরব, যেন সবকিছু দেখেও কিছুই দেখছে না।

এখন লুট থেমে গেছে—কারণ আর লুট করার মতো কিছুই বাকি নেই। ভোলাগঞ্জের পাহাড়ি সৌন্দর্য আজ মৃত, জায়গাটি রূপ নিয়েছে ধুলা-মাটির বিরান মরুভূমিতে। আর এই ধ্বংসের পর যখন জনরোষ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে, তখনই শুরু হয়েছে ‘অভিযান’ নামের সাজানো নাটক। দিনের বেলায় ক্যামেরার সামনে দেখানো হচ্ছে ধরা-ধরির দৃশ্য, রাতের আঁধারে আবার একই পথে পাথর পাচারের স্রোত চলেছে—সবই প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত সাদা পাথরের ছবি ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দেশবাসী। জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো টানা একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু তাতেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। অভিযানের নামে চলেছে প্রহসন, আর বাস্তবে ভোলাগঞ্জের ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে অবাধে।

স্থানীয়রা জানান, ভোলাগঞ্জ থেকে লুট করে আনা পাথর মিশিয়ে দেওয়া হয় ভারতের মেঘালয় থেকে আমদানি করা পাথরের সঙ্গে। পরে সরকারি কাগজে ‘আমদানিকৃত পাথর’ দেখিয়ে সারা দেশে চালান পাঠানো হয়। ধোপাখোলা বাজার থেকে কোম্পানীগঞ্জ সড়কের দুই পাশে ১৫ কিলোমিটারজুড়ে বসানো ক্রাশারগুলোতে দিনভর চলে পাথর চূর্ণের কাজ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির সিলেট সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার ক্ষোভে বলেন—“প্রশাসনকে ব্যর্থ বলব না, কারণ তারা চেষ্টাই করেনি। এক বছর আগেও কেউ এখানে হাত দেওয়ার সাহস পায়নি, এখন পাচ্ছে—এটাই প্রমাণ তারা ইচ্ছা করেই চোখ বন্ধ রেখেছে।”

জেলা প্রশাসক নিয়মিত অভিযান চালানোর দাবি করলেও জনমনে প্রশ্ন—যেখানে এক বছর আগেও লুট অসম্ভব ছিল, সেখানে এখন কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না? নাকি অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল জনসাধারণের চোখে ধুলা দেওয়া?

ভোলাগঞ্জের পাথর শেষ, কিন্তু থেকে গেছে লুটের কাহিনি—যা শুধু একটি প্রাকৃতিক সম্পদের ধ্বংস নয়, বরং প্রশাসনিক উদাসীনতা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের নগ্ন উদাহরণ।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..