বগুড়ার শাজাহানপুরে একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সানজিদা নিখোঁজ হওয়া ৬দিন পাড় হলেও এখনও সন্ধান মেলেনি তার। পরিবারের দাবি ছোট ভাইয়ের সাথে রাগ করে করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। পুলিশের দাবি, যদি নদীতে ঝাঁপ দিতো পরের দিনেই মরদেহ ভেসে উঠত। পরিবারের দাবি ভিত্তিহীন। তারপরও পুলিশ শিক্ষার্থী সানজিদাকে উদ্ধারে কাজ করছে।
নিখোঁজ সানজিদা আক্তার লিছা উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ উত্তরপাড়ার সাইফুল ইসলাম লিটনের মেয়ে। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
নিখোঁজ সানজিদার পরিবারের সূত্রে জানাগেছে, গত শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আজহার আগের দিন বিকাল ৩টার দিকে সানজিদা তার বাড়ি সংলগ্ন করোতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেয়। কারণ হিসেবে জানা গেছে ছোট ভাই এর সাথে রাগারাগি করে এমন কাণ্ড ঘটায়।
নিখোঁজ শিক্ষার্থী সানজিদার বাবা সাইফুল ইসলাম লিটন বলেন, বিষয়টি শাজাহানপুর থানা পুলিশকে জানালে, প্রথমে ফায়ার সার্ভিস টিম আসে। পরে রাজশাহী থেকে ডুবরি দল আসে। কিন্তু ডুবরি দল আমার সাথে কোন কথা না বলে নদীতে না নেমেই চলে যান। এদিকে নিখোঁজের ৬দিন পাড় হলেও প্রশাসনের দৃশ্যমান কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না তিনি।
ঈদের আগের দিন সানজিদার নিখোঁজ হওয়ায় পর থেকে পুরো পরিবারে ঈদ আনন্দ মলিন হয়ে গেছে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের খবর শোনা মাত্রই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সানজিদাকে নদীর পাড় দিয়ে যেতে দেখেছে এলাকাবাসি। কিন্তু নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে কেউ দেখেনি। এছাড়া করতোয়া ছোট্ট নদী। যদি ঝাঁপ দিয়েই থাকতো তাহলে পরদিনই মরদেহ ভেসে উঠতো। তারপরও পুলিশের একাধিক টিম গুরুত্বের সাথে তদন্ত এবং উদ্ধারে মাঠে নেমেছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...