নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের লাঙ্গলবন্দে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাঅষ্টমী পূর্ণস্নান সুষ্ঠ ভাবে আয়োজনের লক্ষে প্রস্তুুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এ আলোচনা সভা।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা শেষে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন ফ্রন্ট এর নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পী বলেন, আপনারা জানেন আসন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাঅষ্টমী পূর্ণস্নান নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অত্যান্ত সুষ্ঠ এবং সুন্দর ভাব ঊদযাপিত হবে বলে আমরা দৃঢ ভাবে বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় সুন্দর এবং শান্তির পক্ষে থাকার একজন মানুষ। আমি মানসিকতা লালন করি ধারন করি ধর্মীয় যে উৎসব গুলো যে কোন ধরনেরই হোক সকল সম্প্রীতির মানুষ উদযাপন করুক এটা আমি চাই। লাঙ্গলবন্দ স্নানের যে প্রস্তুুতিটার সময় আমাদের হাতে খুব কম। আমাদের উদ্ধেশ্য সকলের সন্মলিত প্রচেষ্টায় যেন সেটা সফল হয়।বিগত সময়ে আমরা যে মিটিংটা করেছিলাম ওটা থেকেই সবাইকে ইনভাইট করে আজকে এখানে আমরা আসছি। স্নান উদযাপন কমিটি যারা বিগত সময়ে যারা করছে তাদের সাথে আমাদের দ্বিমত নেই। কিন্তু কতগুলো আদর্শিক বিষয় রয়েছে। সেই আদর্শিক বিষয়ে কিছু কমপ্লেন আছে সেটা আমার না, সাধারন মানুষের। কমপ্লেন গুলো বিভিন্ন ভাবে আমাদের কাছে আসছিলো। এসব বিষয়ে আমরা একে অপরের সাথে এ বিষয়ে বসে সে অন্যায়গুলোর প্রতিবাদ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। আমি ডিটেলস বলতে চাচ্ছি না। অভিযোগ গুলোর পাহাড় জমা পড়ে আছে। সেগুলো যদি জানতে চাওয়া হলে হয়ত তারা দিতে পারে। এমন একটা কিছু হোক যে জায়গা থেকে আমাদের জন্য সুন্দর একটা ইমেজ বজায় থাকে। সনাতনী সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ থাকুক এটা কেউ চায়না। না চায় প্রশাসন, না চায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কেউ না। আমরা চাচ্ছিলাম আমরা বসে কিছু একটা করি। যারা বিতর্কিত হয়ে গেছে এই শহরের সেগুলো কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না। কার বিরুদ্ধে করবো? অনেকে আমার দাদা, আমার বাবার সমতূল্য, অনেকে আমার ভাই অনেকে আমার আত্মীয় পরিজনের মতো। রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে একটি শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানে শিকলেই থাকুক। এ বিষয়ে প্রশাসকের উপরে অনেক চাপ রয়েছে। কারন ঈদের ছুটির পর আমাদের এই উৎসবটা অনুষ্ঠিত হবে। আজকের মিটিংয়ে উভয় পক্ষের কথা শুনে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।।অল্প সময়ের জন্য হলেও যেন একটি কমিটি গঠন হয়ে উৎসবটা যেন আনন্দের হয়। আমার মনে হয় সাধারন জনগন এটাই মেনে নিবে। আমি মনে করি এটাই মেনে নেয়া উচিত। প্রোগ্রামটা যেন সুন্দর ও স্বার্থক ভাবে হয়। এ বিষয়ে ডিসি সাহেবের আন্তরিকতার যেন কোন শেষ নেই। আমি শতভাগ মনে করি প্রশসনের তরফ থেকে যথেষ্ট পরিমানে আমাদেরকে সহযোগিতা করে আসছে। ডিসি সাহেব অনেক আধুনিক একজন সবুজ মনের মানুষ। এ ধরনের মানবিক জেলা প্রশাসক থাকলে আমারা অবশ্যই সাধুবাদ জানাবো। অনুষ্ঠানটা সুন্দর ভাবে করা দরকার কে নেতৃত্ব দিচ্ছে, কারা করছে সেটা বড় কথা না। এমন ভাবে করা উচিত কন্ট্রোলটা যেন ভালো মানুষদের সমন্বেয়ে হয়। যদি আমরা নাও থাকি সেখানে নেতৃত্বের কিছু নেই। দেখে দুর থেকে অন্তত শান্তি পাবো সাধারন মানুষের প্রতিফলন হয়েছে। আমাদের কমিটি আছে বলেই প্রতিবাদের ভাষা আছে। যারা অন্যায় করেছিলো তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। একটা সিন্ডিকেট ভাঙ্গছে অনেকদিন পর।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...